জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে কিছুদিন আগেই গ্রেফতার হয়েছিল আইআইটি গুꦑয়াহাটির ছাত্র তৌসিফ আলি ফারুকি। ওই ছাত্রের ꦅবাবা দাবি করেছেন, তাঁর ছেলের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। তার পরিবর্তে ছেলের অন্য পরিকল্পনা ছিল। যদিও কী পরিকল্পনা সেবিষয়ে ছেলে তাঁকে জানাননি। তবে তৌসিফের মা কিছু জানতেন এবং সে বিষয়টি তিনি গোপন রেখেছিলেন। এমনটাই দাবি করেছেন তৌসিফের বাবা আসমত আলি ফারুকি।
আরও পড়ুন: I🧜SIS-এ যোগদানের কথౠা জানিয়ে পুলিশকে চিঠি, আটক আইআইটি গুয়াহাটির ছাত্র
উল্লেখ্য, তৌসিফ গুয়াহাটির বায়োসায়েন্স বি༒ভাগের চতুর্থ বর্ষের বি টেক ছাত্র। গত ২৪ মার্চ তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।তৌসিফের বাবা সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করছেন, তিনি বিহারের সিওয়ানে থাকেন। কিন্তু, তৌসিফ তার মায়ের সঙ্গে দিল্লিতে ছিলেন। তৌসিফ তাঁকে জানিয়েছিলেন তার অন্য পরিকল্পনা রয়েছে । তাই সে আর পড়াশোনা করতে চায় না। একইসঙ্গে আসমত দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী কোনও কিছু জানতেন। তবে সে সম্পর্কের তাঁর কাছে গোপন রেখেছিলেন তাঁর স্ত্রী।তবে তৌসিফের মা কোনও কিছু মন্তব্য করেননি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তৌসিফ। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।
এদিকে, ছাত্রের বাবার অভিযোগ, পুলিশ দিনের বেলায় ছেলের সঙ্গে তাঁকে কথা বলতে দেয়নি। অসম পুলিশের স্পেশাল টাস꧂্ক ফোর্সের (এসটিএফ) ইন্সপেক্টর জেনারেল পার্থসারথি মহন্ত আগে বলেছিলেন যে ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইএসআইএসের সঙ্গে তার যোগসূত্রের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। আইএসআইএস-ইন্ডিয়ার প্রধান হারিস ফারুকি ওরফে হারিস আজমল ফারুখি এবং তার সহযোগী অনুরাগ সিং ওরফে রেহ𒀰ানকে ধুবরি জেলা থেকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার কয়েকদিন পর ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে, তৌফিক দিল্লির ওখলার বাসিন্দা। গুয়াহাটি আইআইটির হস্টেলে তিনি থাকতেন। এরপর আচমকা সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। এরই মধ্যে অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আইজি সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককে ওই ছাত্র মেইল করে জানা🌱ন, তিনি আইএসে যোগদানের উদ্দেশ্যে আফগানিস্তানের খোরাসান প্রদেশে যাচ্ছেন। এরপরেই তার খোঁজে তল্লাশি চালায় এসটিএফ। অবশেষে গুয়াহাটি আইআইটি কলেজ থ💜েকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গা থেকে তাকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তার কাছ থেকে আইএসআইএসের পতাকা উদ্ধার হয়েছে।