বিমানভা𓂃ড়া নিয়ে বহু যাত্রীই ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন সম্প্রতি। জুনের শুরুর দিকে অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া লাগামহীন বৃদ্ধিতে রাশ টানার আশ্বাসও দেন। এবার কমল বিমানভাড়ার। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের (ডিজিসিএ) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন রুটে বিমানের টিকিটের সামগ্রিক গড় মূল্য কমেছে বেশ খানিকটা। সম্প্রতি কয়েকটি নির্দিষ্ট রুটে বিমান ভাড়ায় ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটেছিল। আপাতত কিছু রুটে সেই দাম কমায় হাফ ছেড়ে বাঁচলেন যাত্রীরা।
ডিজিসিএ'র তথ্য বলছে, ২৯ জুন দিল্লি-মুম্বই রুটের বিমান ভাড়া ৬ জুনের তুলনায় কমেছে প্রায় ৭৪ শতাংশ, যা সাম্প্রতিক সময় রেকর্ড পতন। একই সময়ে দিল্লি-পুণে রুটে ৭০ শতাংশ, দিল্লি-আমদাবাদ রুটে ৭২ শতাংশ এবং দিল্লি-শ্রীনগর রু💙টে ৩৬ শতাংশ কমেছে বিমানভাড়া। তবে সর্বত্র ভাড়া কমেছে, এমন নয়। কোনও কোনও রুটে ভাড়া বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। মুম্বই-দিল্লি এবং পুণে-দিল্লি রুটের গড় ভাড়া ꧒বেড়েছে ২৩ শতাংশ এবং ১৭ শতাংশ।
বিমান ভাড়ায় রাশ টানতে আসরে নেমেছিলেন সিন্ধিয়া। গত ৬ জুন বিমান সংস্থাগুলির উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। সেই বৈঠকের পরই বিমান ভাড়া কম হওয়ার কথা জানান সিন্ধিয়া। দিল্লির সঙ্গে শ্রীনগর, লেহ, পুণে এবং মুম্বইয়ের বিমান ভাড়া কমানো হয়েছে বলে জানান তিনি। ১৪ শতাংশ থেকে ৬১ শতাংশ পর্যন্ত বিমান ভাড়া কমানো 𝄹হয়েছে বহু রুটে। বিমান সংস্থাগুলির উপদেষ্টা কমিটির ওসঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই জানিয়েছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী। তবে সমস্ত রুটেই কবে কমলে বিমান ভাড়া, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতে বিমান পরিষেবা ক্ষেত্র প্রায় সার্বিকভাবেই বেসরকারি সংস🐭্থাগুলির অধীনে চলে, ফলে সরকার সর🐟াসরি হস্তক্ষেপ করে বিমান ভাড়া নিয়ন্ত্রিত করতে পারে না। বাজারের সরবরাহ-চাহিদা অনুপাতের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় টিকিটের মূল্য। আপাতত যাঁরা দিল্লি-পুণে কিংবা দিল্লি-শ্রীনগর বা আমদাবাদ যাবেন, তাঁরা কিছুটা শান্তির বিমানযাত্রা করবেন। কিন্তু কতদিন, তার নিশ্চয়তা নেই কোনও।