সকলের পরিচিত ‘লেডি জাস্টিস’- এর মূর্তি দীর্ঘদিন ধরেই আদালত এবং আইনি প্রতিষ্ঠানে দেখা যায়। ব্রিটিশ আমল থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। যেখানে একটি নারী মূর্তিকে (লেডি জাস্টিস) এক হাতে দাঁড়িপাল্লা, অন্য হাতে তরোয়াল এবং চোখে কালো পট্টি নিয়ে দাঁড়িয়ে থꦓাকতে দেখা যায়। তবে যে ন্যায়ের মূর্তি এত দিন প্রচলিত ছিল তার বদল হয়েছে। চিরাচরিত সেই ধ্যান-ধারণা থেকে দূরে সরে এসে নতুনভাবে এই মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ꦏের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যে নতুন ধরনের লেডি জাস্টিসের মূর্তি বসে গিয়েছে। এখন এই নতুন মূর্তিই চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সবটুকু দিয়ে দেশের সেবা করেছি’ ভুটানে গিয়ে নিজে😼র কাজের অভিজ্ঞতা জানালেন CJI
লেডি জাস্টিসের নতুন মূর্তি কেমন?
নতুন লেডি জাস্টিসের যে নারী মূর্তি সুপ্রিম কোর্টে বসেছে তার চোখে কোনও পট্টি বাঁধা নেই, অর্থাৎ চোখ খোলা রয়েছে। একহাতে রয়েছে দাঁড়িপাল্লা এবং অন্য হাতে তলোয়ারের জায়গায় রয়েছে সংবিধান। যা ভারতে 🥃ন্যায়বিচারের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সংকেত দেয়। অনেকের মতে, নতুন এই মূর্তির মাধ্যমে ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে যে আইন অন্ধ নয় এবং আইনের চোখে সকলেই সমান। ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার সকলের সমান। উল্লেখ্য, আগামী নভেম্বর মাসে অবসর নেবেন প্রধান বিচারপতি। তার আগে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে এমন পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে ভারতের বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের লাইব্রেরিতে স্থাপিত নতুন মূর্তিটি এই আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি বিচার বিভাগের অঙ্গীকারের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চন্দ্রচূড় স্পষ্ট করেছেন, যে ন্যায়বিচার সকলকে সমানভাবে দেখে। ইঙ্গিত দেয় যে বিচার বিভাগের ভূমিকা কেবল শাস্তির বিষয়ে নয় বরং সাংবিধানিক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেওয়া। শ্বেতবর্ণের নতুন নারীমূর্তিটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতীয় দণ্ডবিধির বদলে ন্যায় সংহিতা চালু করা হয়েছে। আর তার পরেই এবার বদলে ফেলা হল লেডি জাস্টিসের মূর্তি। অনেকেই মনে করছেন, তরোয়ালের পরিবর্তে সংবিধান রাখার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি বার্তা দিতে চেয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী আদালত বিচার করে এবং রায় শোনায়। সেই কারণেই তলোয়ারের পরিবর্তে লেডিꦫ জাস্টিসের হাতে দেওয়ায় হয়েছে সংবিধান।