কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন🔯 প্যাকেজ ৬৩.৭ লক্ষ টাকা। সিয়াটেল গ্র্যাভিটি পেমেন্টে নামক সংস্থায় এমনই বিপুল বেতন দেওয়া হয়। আর তা পুরোটাই সংস্থার সিইও ড্যান প্রাইসের ইচ্ছায়। শুধু তাই নয়, কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ, সময়-ছুটির পরিবর্তন, নতুন মা-বাবাদের সবেতন ছুট🌟িও প্রদান করে এই সংস্থা।
সম্প্রতি, ড্যান প্রাইস অন্যান্য সংস্থাদেরও তাঁর মতো মতাদর্শে চলার আহ্বান জানান। টুইটারে তিনি লেখেন, 'আমার সংস্থায় সবচেয়ে কম বেতন ৮০,০০০ ডলারের। কর্মীদের যেখানে খুশি, সেখান থেকে কাজ করতে দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ সুবিধা ও বেতনসহ মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয়। আমরা ওএক একটি পদের জন্য ৩০০ জনেরও 🔴বেশি আবেদনকারী পাই।'
তিনি ইনস্টাগ্রামেও পোস্টটি পুনরায় শেয়ার করেছেন। তাঁর এই বার্তা থেকে ন্যায্য মজুরি সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়াতে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, 'আমি আমার চাক❀রিতে এর এক তৃতীয়াংশ বেতনও পাই না। আমার একটি নতুন ক🌼াজের জায়গা দরকার। আপনি যদি বিসি, কানাডায় দোকান খোলেন তাহলে আমিই প্রথম আবেদন করব।' অন্য একজন বলেন, 'গত বছর আপনাদের ন্যূনতম বেতন ৭০ হাজার ডলার ছিল! আপনি যা করে চলেছেন তা পাগলের মতো! বেশিরভাগ সিইও নিজেদের টাকা নেই বলে নাটক করেন। এদিকে নিজেদের বাদে সংস্থার বাকি সবাইকে দোষারোপ করেন। আপনি ড্যান, ড্যানের মতোই থাকুন!'
এর আগে নি♐জের বেতন কমিয়ে এবং সমস্ত কর্মী▨দের বেতন প্যাকেজ ৫৫.৭ লক্ষ টাকা (USD ৭০,০০০) করে দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন এই সিইও। পরে এটি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, কোনও সংস্থার অস্তিত্বই তার কর্মীদের জন্য। তাই সংস্থা ভাল ব্যবসা করলে তার মুনাফার ভাগ কর্মীদেরও প্রাপ্য। সেখানে সিইও বা উঁচু পদের কর্মীরা সিংহভাগ টাকা নিতে পারেন না।
অনেকে অবশ্য ড্যানের নিন্দা 🐭করতেও ছাড়েননি। তাঁদের কথায়, এভাবে তাঁর সংস্থা অন্য ছোট ব্যবসা, লোকসানে চলা কোম্পানির পক্ষে কর্মী নিয়োগ করা কঠিন করে তুলছে। অহেতুক সাধারণ কাজের জন্য বেশি বেতন দেওয়াও কোন☂ও অর্থনীতির জন্য ঠিক নয়।
যদিও ড্যানের দাবি, এই বেতন বৃদ্ধির ফলে কর্মীদের কাজের প্রতি আগ্রহ বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। তিনি জানান, ৬ ব🍎ছর আগে তাঁদের ৭০ হাজার ডলারের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর থেকে সংস্থার রাজস্ব তিনগুণ বেড়েছে। কর্মীদের সংখ্যাও ৭০% বেড়েছে। গ্রাহক সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ৭০% কর্মী তাঁদের নামে থাকা ঋণ পরিশোধ করেছেন। কর্মীদের বাড়ি কেনার সংখ্যা ১০ গুণ বেড়েছে। মহামারীর সময়ে সংস্থার টার্নওভার অনেকটা কমে গেলেও কর্মীদের বেতন হ্রাস বা ছাঁটাইয়ের মতো কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।