জলের ট্যাঙ্ক সাফ করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন এক নাবালক সহ তিন ব্যক্তি। অসমের শিলচরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়েছে। সরকারি জনস্বাস্থ্য ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি ১২ ফুট উচ্চতার জলের ট্যাঙ্ক সাফ করতে নিচে নেমেছিলেন তারা। সেখানেই বিষাক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনজন। মৃতদের মধ্যে আছেন এক ১৬ বছরের যুবক। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে যে রিজার্ভারের ভিতরে ইলেকট্রিক জেনেরটর থেকেই ধোঁয়া বেরিয়েছিল। তাতেই দমবন্ধ হয়ে যায় ওই তিন শ্রমিকের। এরা হল সেলিম উদ্দিন লস্কর ( ৪০), নাজিমুদ্দিন মজুমদার ( ৪৫) ও সামসুল আলম মজুমদার ( ১৬)। সেলিম ওই রিজার্ভারের মধ্যেই মারা যায়। অন্যদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিভাগের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে গ্যাসের প্রভাবেই মৃত্যু হয়েছে কিন্তু কীভাবে সেটি সৃষ্টি হল, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। দফতর জানিয়েছে যে জলের রিজার্ভার সংক্রান্ত কাজ তারা একটি এজেন্সিকে দিয়েছিল। তারাই এই শ্রমিকদের নিয়োগ করে। কোথাও নিরাপত্তাজনিত ত্রুটির ফলেই এই ঘটনা হয়েছে বলে মনে করছে জনস্বাস্থ্য দফতর। চারটে নাগাদ দুজনকে অচৈতন্য অবস্থায় ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তারপরেই ছুটে আসে আপৎকালীন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা ও কাছার জেলার কর্তাব্যক্তিরা। জানা গিয়েছে সেলিম প্রথমে ট্যাঙ্কে ঢুকে জ্ঞান হারায়। সেলিমকে বাঁচাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন নাজিম ও তাঁর ছেলে সামসুল। এই ঘটনায় স্থানীয় বিনি কন্ট্র্যাক্টরের দোষ আছে বলে মনে করছেন নাগরিকরা। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মিয়া খান জানান যে ট্যাঙ্কে যখন এরা পড়ে যায় তখন উদ্ধার করার জন্য সিড়িও ছিল না। কেবল অবহেলা ও অসতর্কতার জন্য তিনটি প্রাণ গেল বলে তাঁর অভিযোগ। ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা না হয় তার জন্য প্রশাসনকে সতর্ক হতে তিনি অনুরোধ করেন।