আবারও গুলি চলল রোহিঙ্গা ত্রাণ শিবিরে। দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে গুলি চলে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে তিনজন, যার 🌞মধ্যে দুজন শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ত্রাণ শিবিরে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ত্রাণ শিবিরের শরণার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পেয়ে বাংলাদেশ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুলিবিদ্ধ তিন জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে উখ꧒িয়া উপজেলার কুতুপালং ৮-ডব্লিউ ২ নম্বর রোহিঙ্গা ত্রাণ শিবিরে। মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুপক্ষ। তার মাঝখানে পড়ে ওই শিশু-সহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুনুর রশিদ জানান, গুলিবিদ্ধদের হাসপাতালে ভরতি করা হয✃়েছে। এদের মধ্যে একজন শিবিরের ১৯ নম্বর ব্লকের মহম্মদ করিমের ছেলে ওমর ফারুক (৭), মহম্মদ জামালের ছেলে জসিম (৬) এবং কলিম উল্লাহ (৩৮)। বর্তমানে হাস𝓰পাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে গুলি চলার খবর পেয়ে এসে পৌঁছয় বাংলাদেশ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। পুলিশ আসার পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পরে পুলিশ গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে উখিয়ার কুতুপালং সং🌳লগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রসঙ্গত, রবিবার উখিয়ায় আরও একটি রোহিঙ্গা ত্রাণ শিবিরে গুলি চলে। ঘটনাটি ঘটেছিল উখিয়া বালুখালির ১৩ নম্বর ক্যাম্পে। সেক্ষেত্রে দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ হয☂়েছিলেন মা ও ছেলে। পরে স্থানীয়রা একজন হামলাকারীকে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেয়। তারফলে ওই হামলাকারীর মৃত্যু হয়। শুধু এই দুটি ত্রাণ শিবিরেই নয়, এর আগেও একাধিক রোহিঙ্গা ত্রাণ শিবিরে গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে অনেক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। এদিনের হামলার ঘটনায় পুলিশ হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।