ভারতে ব্যানের জেরে প্রায় ৪,৪৫০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছে বাইট ডান্স। যে সংস্থার অধীনে রয়েছে টিকটক। চিনের Caixinglobal.com-এর রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে একথাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।গত মাসের শেষের দিকে যে ৫৯ টি চিনা অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল ভারত, তার মধ্যে রয়েছে বাইট ডান্সের তিনটি অ্যাপ - টিকটক, ভিগো ভিডিয়ো এবং হেলো। যা বাইট ডান্সের কাছে বিশাল বড় ধাক্কা। বিশেষত টিকটক ব্যান হয়ে যাওয়ার ফলে বাইট ডান্সের ব্যবসা পরিকল্পনা পুরোপুরি ভেস্তে গিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ ব্যবহারকারীর সংখ্যার নিরিখে চিনের (চিনে ডাউলিং নামে পরিচিত) বাইরে টিকটক সবথেকে বেশি জনপ্রিয় ভারতেই। SensorTower-এর রিপোর্ট উদ্ধৃত করে Caixinglobal যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা তুলে ধরে পিটিআই জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতে ৬১১ মিলিয়ন বার টিকটক ডাউনলোড করা হয়েছিল। যা সারা বিশ্বের প্রায় ৩০.৩ শতাংশ। এমনকী গত বছর পুরো ১২ মাসে ভারতে যতবার টিকটক ডাউনলোড করা হয়েছিল, এবার প্রথম ত্রৈমাসিকেই সেই সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ। Caixinglobal-এর প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে পিটিআই আরও জানিয়েছে, বাকি যে অ্যাপগুলি ভারতে ব্যানের মুখে পড়েছে, সেগুলির সম্মিলিত লোকসানের থেকেও বাইট ডান্স বেশি ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।নিজেদের ক্ষতি কমাতে তাই এবার মরিয়া হয়ে চিনা সরকারের থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নেওয়ার পথে হেঁটেছে টিকটক। গত ২৮ জুন কেন্দ্রীয় সরকারকে টিকটকের তরফে যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, তাতে স্পষ্টতই সেই চেষ্টা ধরা পড়েছে। যে চিঠি গত শুক্রবার দেখেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স। সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ কেভিন মায়েরের বক্তব্যকে তুলে ধরে রয়টার্স বলেছে, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে ভারতীয় ব্যবহাকারীদের টিকটক তথ্যের জন্য আমাদের কাছে কখনও কোনও অনুরোধ করেনি চিনা সরকার। ভবিষ্যতে যদি আমরা এরকম কোনও অনুরোধ পাই, তাহলে সেটা মানা হবে না।’যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, টিকটকের সেই প্রচেষ্টায় কোনওভাবেই চিঁড়ে ভিজবে না। এমনিতেই চিনা অ্যাপ ব্যানের সিদ্ধান্তে ভারতের অন্দরে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া মিলেছে। পাশাপাশি ‘জাতীয় সুরক্ষা’-র কারণে ব্যান করায় আইনি পথে হেঁটেও খুব একটা লাভের আশা নেই বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।