আরোগ্য সেতু অ্যাপ আসলে নজরদারির জন্য তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে হেনস্থা করার ষড়যন্ত্র করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমনই সব অভিযোগ জানালেন বাংলার শসকদল তৃণমূলের সাংসদ-মন্ত্রীরা।পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব বজায়-সহ লকডাউন নীতিও। এ দিন এই সমস্ত অভিযোগ জানিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভল্লা। তৃণমূল প্রশাসনের বিরুদ্ধে করোনা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে বিরোধী বিজেপিও। এ দিন সে সবেরই জবাবে পালটা আক্রমণের পথে হাঁটল তৃণমূল নেতৃত্ব। এ দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যসভায় তৃণমূল নেতা জেরেক ও’ব্রায়েন দাবি করেন, ২০,০০০ কোটি ব্যয়ে সংসদ ভবন সংস্কার প্রকল্প অবিলম্বে বাতিল করা হোক। সেই অর্থ খরচ করে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র নাগরিক বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করার দাবি জানিয়েছেন ডেরেক। তাঁর অভিযোগ, নিজের বাসভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর সুড়ঙ্গপথে সংসদে পৌঁছানোর সুবিধা করতে এই বিপুল অর্থ ব্যয় বন্ধ করা হোক।লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার আবার অভিযোগ করেন, করকোনা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের আরোগ্য সেতু অ্যাপ আসলে মানুষের উপরে নজরদারির উদ্দেশেই তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, পিপিই ও টেস্টিং কিট বরাদ্দে রাজ্যকে বঞ্চনা করা হয়েছে বলেএ তাঁর দাবি। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বব্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা ‘রাজনীতিকদের মতো লিখছেন’ কারণ তাঁরা আসলে ‘রাজনৈতিক প্রভূদের লিখে দেওয়া নির্দেশনামায় তাঁরা শুধু সই করছেন’। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনকে করোনা মোকাবিলা নিয়ে অযথা হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও দাবি জানিয়েছেন সুদীপ।রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, যে সময় সারা বিশ্ব করোনা রোধ করার পরিকল্পনা করছিল, সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আপ্যায়নে ব্যস্ত ছিল।অন্য দিকে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কেন্দ্র হস্তক্ষেপ না করলে আমরা রাজ্যবাসী এতদিনে বিরাট সমস্যার মুখে পড়তাম। যদি পরিস্থ্িতির কিছু উন্নয়ন হয়ে থাকে, তা হয়েছে কেন্দ্রের চাপেই।’