খলিস্তানপন্থী জঙ্গি গুরুপতবন্ত সিংহ পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার মামলায় নাম জড়িয়েছে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)- এর꧑ প্রাক্তন অফিসার বিকাশ যাদবের। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই একটি বিবৃতি জারিꦺ করে ইতিমধ্যেই বিকাশের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এই আবহে এনিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করল বিরোধীরা। কীভাবে একজন ‘র’ আধিকারিক উপরমহলের নির্দেশ ছাড়া নিজে থেকে এই কাজ করতে যাবেন? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে।
বৃহস্পতিবার এফবিআই ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার ওয়ারে বিবৃতি জারি করে বলেন, ‘একজন ভারতীয় সরকারী কর্মচারী একজন অপরাধীর সঙ্গে হ🌟াত মিলিয়ে মার্কিন মাটিতে এক জন আমেরিকান নাগরিককে হত্যার চেষ্টা করেছিল। এই ধরনের ঘটনা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। এই ধরনের কাজের জন্য আমরা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।’ যদিও এখনও এনিয়ে ভারত সরকারের কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। এনিয়ে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিবৃতি দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, পান্নুন খুনের ষড়যন্ত্রের ম💧ামলায় আগেই আমেরিকার🦂 আদালত ভারত সরকার, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রাক্তন প্রধান সমন্ত গোয়েলকে সমন পাঠিয়েছে। এবার তাঁর খুনের চেষ্টায় প্রাক্তন ‘র’-এর আধিকারিকের নামে পরোয়ানা জারি হওয়ায় আন্তর্জাতিক মহলে অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। যদিও নয়াদিল্লি আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে, পান্নুনকে হত্যার চক্রান্তে ভারতের কোনও যোগ নেই।
এদিকে, সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বিকাশ যাদব র আধিকারিক ছিলেন । তবে এখন তিনি ভারত সরকারের হয়ে কাজ করেন না। অন্যদিকে, সাকেত গোখলে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘একজন ‘র’ অফিসার উপর থেকে কারও আদেশ ছাড়া নিজে থেকে কাজ কেন করবেন? তাকে বলির পাঁঠা বানানো সহজ কিন্তু, কার নির্দেশে তিনি কাজ করছিলেন?’ তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সাকেতের দাবি, এটি একটি বিরাট আন্তর্জাতিক বিব্রতকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল সাংসদ এক্স হ্যান্ডেলে আরও লিখেছেন, ‘তাহলে কি লরেন্স বিষ্ণোই গুজরাটের জেলের ভেতর থেকে এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন?’ এর জন্য তিনি অবিলম্বে অমিত শাহ এবং অজিত ডোভালের পদত্যাগ🎀ের দাবি জানিয়েছেন । তিনি লিখেছেন, ‘তাঁদের অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে যতক্ষণ না ভারত সরকার এই ঘটনাটির তদন্ত করছে।’