বাংলায় এনআরসি হতে দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। এবার মেঘালয় থেকে একই ইস্যুতে সুর সপ্তমে চড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করলেন তিনি। এদিন এনআরসি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে একের পর এক কটাক্ষ করেন তিনি। এমনকী মেঘালয়ের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধধ্যায়। মেঘালয়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে অভিষেক দিলেন ঐক্যের বার্তা। তিনি বলে🅠ন, ‘টিএমসি মানে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? আজ, শুক্রবার মেঘালয়ের বিশেষ টুপি পরে ভাষণ দিলেন তিনি। এদিন জনসভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘এখানে এনআরসি হতে দেব না। মেঘালয়ের মানুষকে বোঝাতে হবে তাঁরা এখানকারই বাসিন্দা। আমরা অসমেও এꦏনআরসি’র প্রতিবাদ করেছিলাম। আমাদের প্রতীকে ফুলের তিনটি পাপড়ি—কারণ একটা খাসি, একটা গারো, একটি জয়ন্তীয়া। এখানে বছরের পর বছর দেখেছি, পূর্ব আর উত্তর–পূর্ব ভারতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এবার দেখিয়ে দেওয়ꦡার সময় এসেছে যে পূর্ব আর উত্তর–পূর্ব ভারত কারও থেকে কম যায় না।’
আর কী বলেছেন অভিষেক? এদিন মেঘালয়ের গারো পাগাড়ের তুরায় দা෴ঁড়িয়ে দিলেন কড়া বার্তা। তিনি বলেন, ‘মেঘালয়ের উন্নয়নে সম্পূর্ণ ব্যর্থ এখানকার সরকার। মেঘালয় সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত, সাধারণ মানুষের টাকা লুঠ হয়েছে। কেন এখানে ইডি–সিবিআই তদন্ত হবে না? এটাই কি ডꦛবল ইঞ্জিন সরকারের নীতি? সাহস থাকলে বিতর্কে বসুন। আমি খাসি, গারোয় গিয়েছিলাম। সেখানকার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি যে ভালবাসা প্রদর্শন করেছেন, তাতে আমার মাথা নত হয়ে গিয়েছে। পরেরবার এসে জয়ন্তীয়া যাব।’
মেঘালয়ের মানুষকে কী বার্তা দিলেন অভিষেক? এদিন জনসভা থেকে তিনি মানুষের উদ্দেশে বলেন, ‘এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব। আমরা বিশ্বাস করি, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। মেঘালয় সেই রাস্তা দেখাবে। আমরা নয়াদিল্লিতে মেঘালয় নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। এখানের জনজাতির ভাষা নিয়ে আমাদের আন্দোলন চলবে। আসন্ন সংসদ🐟ের অধিবেশনে ফের ভেতরে–বাইরে এই নিয়ে আন্দোলন চলবে। আমরা কয়েকশ সদস্যকে নিয়ে মেঘালয়ে সংগঠন তৈরি করেছিলাম। আর এখন সক্রিয় সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ। মেঘালয়কে দেশের মধ🅘্যে ১ নম্বরে নিয়ে যেতে আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন। আপনারা কি চান, দিল্লিতে বসে মেঘালয়কে শাসন করা হোক? মেঘালয়কে শাসন করবে মেঘালয়ই। এখানে কর্মসংস্থান নেই। স্কুলে শিক্ষক নেই। হাসপাতালে পরিকাঠামো নেই। আমরা এটার বদল করব।’