তৃতীয় এনডিএ সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে দুই শরিক পেয়েছে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ। কেন্দ্রে সরকার টেকাতে গেলে এটা দিতেই হতো। তাই সেটাই শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেটে। বিহার আর অন্ধ্রপ্রদেশ বিপুল অঙ্কের টাকা পেতে চলেছে। তাই বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলেছে, এটা কুর্সি ব𒁃াঁচানোর বাজেট। তাই বাকি রাজ্যগুলিকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। এমন সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয়েছে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকারকে। এই নিয়ে বাংলার সাংসদরা প্রশ্ন তুলেছে, কেন বিহার আর অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হল? কেন বঞ্চিত করা হল বাংলাকে? এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসেরই এক সাংসদ বলছেন, বিহারকে 𝄹সাহায্য করায় তিনি খুশি।
এমনটা যে হতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। এই বাজেটের পর যখন সব বিরোধী সাংসদরা সংসদ ত্যাগ করলেন তখনও তিনি সেখানে বসেই ♌ছিলেন। শুনছিলেন আর কী ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। যদি বাংলার জন্য কিছু দেন তার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। কারণ তিনি বাংলার থেকে নির🍨্বাচিত সাংসদ। একদা বিজেপিতেই ছিলেন। অধুনা তৃণমূল কংগ্রেসে। হ্যাঁ, তিনি অভিনেতা–সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। তাঁকে অনেকে ‘বিহারীবাবু’ বলেই ডেকে থাকেন। তাই বাজেটে বিহারের কথা শুনে খুশি তিনি। তবে বাংলা কেন কিছু পেল না? এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘🍎এটা প্রতিহিংসামূলক রাজনৈতিক মনোভাব’, বাজেটে ঘাটাল না থাকায় ক্ষুব্ধ সাংসদ দেব
আজ, বুধবার সংসদে বাজেটের উপর বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এটাই তাঁর প্রথম বক্তৃতা সংসদে। আর সেটা শোনার জন্যই মুখিয়ে আছেন বাংলার মানুষজন। কারণ বাংলায় হেরে যাওয়ার জেরেই বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই আবহে বাজেট নিয়ে প্রতিক্রꦗিয়ায় ক্যানসারের ওষুধের ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি বলেন, ‘জীবনদায়ী ওষুধের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত প্রশংসার। কিন্তু বাংলাকে বঞ্চিত করা হল কেন?’ বারবার এই প্🐷রশ্ন তুলেছেন তিনি। আজও তুলবেন সংসদে।