ভূমিধসে শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু শোনা যাচ্ছে মানুষের হাহাকার। আর স্বজন হারানো আর্তনাদ। কেরলের ওয়েনাড় যেন এখন সাক্ষাৎ মৃত্যুপুরী। প্রায় ৩০০ কাছাকাছি মানুষ 🅰মারা গিয়েছে এই ভূমিধসে বলে খবর। আবার আর একটি সূত্র বলছে, এই সংখ্যাটা আরও বেশি। একের পর এক দেহ উদ্ধার করছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্যরা। এখানের সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই এসে মানুষের উদ্দেশে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। আর এই আবহের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং সাকেত গোখলে। আজ, শনিবার ভূমিধসে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন তাঁরা। একইসঙ্গে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে এক্স হ্যান্ডেলে জানালেন তাঁ🥂দের কথা।
ইন্ডিয়া জোট যে অটুট সেটাও দেখানো হল এই ঘটনার মধ্✤যে দিয়ে। এখানে এসে তাঁরা কোনও রাজনৈতিক কথা বলেননি। মানুষের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখানে বাংলার যাঁরা ছিলেন তাঁরা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে লেখা হয়, ‘দিদি আছে সকলের সঙ্গে, সকলের পাশে।’ আর এক্স হ্যান্ডেলে সাকেত–সুস্মিতার পোস্ট থেকে জানা যায়, ওয়েনাড়ে ভূমিধসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মেপ্পাডি এলাকায়। দুই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মেপ্পাডির মেডিক্যাল ক্যাম্প ও স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। দুর্গত পরিবারের সদস্য🔜দের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এই ঘটনায় দলমত নির্বিশেষে মানুষের উপকারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। স🌌ুস্মিতা দেব আজ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘ওয়েনাড়ের বিধ্বংসী বিপর্যয়ের সঙ্গে লড়াই করার জন্য বিশাল শক্তির প্রয়োজন। আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের নেতার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি দুর্গতদের।’ আর সাকেত গোখলে নিজের পোস্টে লেখেন, ‘তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সুস্মিতা দেব এবং আমি কেরলের ওয়েনাড়ে এসে পৌঁছেছি। ওয়েনাড় ট্র্যাজেডি বিধ্বংসী এবং হৃদয়বিদারক। আমরা এখানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে এবং তাদের জানাতে এসেছি যে আমরা ও বাংলা তাঁদের পাশে আছি।’
আরও পড়ুন: বিনা চিꦍকিৎসায় ভবঘুরের মৃত্যুর অভিযোগ, কাঠগড়া꧟য় আরজি কর হাসপাতাল, তদন্তে পুলিশ
এই ঘটনা এখন গোটা দেশের কাছে চর্চিত বিষয়। একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তা শোকের বিষয়। প্রত্যেক মানুষের কাছে এটা এখন কষ্টের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহিলা থেকে শিশু কেউ বাদ যাননি এই ভূমিধসের ভয়াল কবল থেকে। ১ অগস্ট এক্স হ্যান্ডেলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘মানবিক কারণে 🐼আমরা দুই সাংসদকে ওয়েনাড়ে পাঠাচ্ছি। তাঁরা ওখানে দু’দিন থাকবেন। মৃত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা।’ সেটা আজ বাস্তবে দেখা গেল। বিপর্যয়ে নিহতদের ꦯপরিবার প্রতি শোকপ্রকাশও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে গিয়ে দুই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাহায্যের হাত বাড়ালেন। যা দেখলেন তা জানাবেন মুখ্যমন্ত্রীকে।