জাল টুলকিট মামলায় নয়া মোড়। মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত আরেকটি ভূয়ো খবর ছড়ানোর মামলায়, এবার ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রবীণ নেতা রমন সিংয়ের বয়ান রেকর্ড করল ছত্তিশগড় পুলিশ। সোমবার এই মামলায় তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই মামলায় দায়ের করা এফআইআরে তাঁর নাম নথিভুক্ত রয়েছে। সেকারণে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। রমন সিং ও বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের বিরুদ্ধে গত ১৯ মে ছত্তিশগড়ের সিভিল লাইন্স স্টেশনে ভুয়ো খবর ছড়ানো ছাড়াও একটি সম্প্রদায়ের মধ্য বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে টুলকিট মামলার সারিতেই এই দু’জনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। ছত্তিশগড়ের এনএসইউআই দলের প্রধান আকাশ শর্মার অভিযোগের ভিত্তিতে রায়পুরের সিভিল লাইন্স থানায় রমন সিং ও সম্বিত পাত্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪, ৫০৫(১) বি,সি,৪৯ ও ১৮৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।রায়পুরের পুলিশ সুপার অজয় যাদব জানিয়েছেন, রায়পুর থানার পুলিশ রমণ সিংয়ের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। গত সপ্তাহে তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রমন সিংকে নোটিস পাঠিয়েছিল। সেই নোটিসে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জবাব চেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই প্রশ্নের জবাব লিখিত আকারে দিয়ে রমন সিং বলেছেন যে, তিনি ঘটনার সম্পর্কিত সমস্ত কিছুই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। রমন এও জানিয়েছেন যে, তিনি যা পোস্ট করেছেন, তা সবই প্রকাশ্যে। তাঁর দেওয়া লিখিত উত্তরগুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্য দিকে, রমন পরে সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন যে, কংগ্রেস ষড়যন্ত্র করে এই এফআইআর দায়ের করেছে। তিনি ছত্তিশগড়ের পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে আরও বলেন যে, ‘ছত্তিশগড়ের পুলিশ আইনের নয়, কংগ্রেসের অঙুলিহেলনে পরিচালিত হচ্ছে।’প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, পুলিশ আমাকে যে নোটিসটি দিয়েছিল, তা কংগ্রেসের কাছে গেল কীভাবে? তাঁর আরও বক্তব্য, ‘যে নথি পুলিশের কাছে থাকা উচিত ছিল সেটা কংগ্রেসের কাছে রয়েছে, এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে, পুলিশ কার কাছ থেকে নির্দেশ পাচ্ছে, কারই বা চাপের মধ্যে কাজ করছে।’উল্লেখ্য, রমন সিং ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের নেতা আকাশ শর্মা দায়ের করেছিলেন।অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এআইসিসির গবেষণা বিভাগের লেটারহেড জাল করে তাতে মিথ্যে কুরুচিকর ভাষায় এমন কিছু লিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দেশের সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।