পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী। তপশিলি উপজাতি (এসটি) ক্যাটাগরির অধীনে জেইই-তে ৮২৪ তম স্থান অধিকার করে আইআইটি পাটনায় আসন নিশ্চিত করেছেন তেলাঙ্গানার রাজন্না সিরোসিল্লা গ্রামের আদিবাসী ছাত্রী বাদাভথ মধুলতা। কিন্তু, অর্থভাবে সেখানে পড়াশোনা করা কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল মধুলতার পক্ষে। এই অবস্থায় ক্ষেতমজুর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এবং পড়াশোনার খরচ জোগাতে না পেরে বাধ্য হয়ে মাঠে ছাগল চড়াতে দেখা যায় ছাত্রীকে। ফলে অর্থাভাবে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে বসেছিল মধুলতার। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল তেলোঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির সরকার।
আরও পড়ুন: JEE মেইনে ১০০ পার্সেন্টাইল কলকাতার ছেলের,IIT বম্বেতে পড়তে চান ফুটব🌌ল𝓡প্রেমী সোহম
জানা গিয়েছে, মধুলতা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার জুনিয়র কলেজের ছাত্রী। অর্থভাবের মধ্যেই ছোট থেকে পড়াশোনা চালিয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু, ভালো জায়গায় পড়ার সুযোগ পেয়েও এখন অর্থভাব তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। জানা যাচ্ছে, আইআইটি পাটনায় তাঁকে পড়তে গেলে আগামী ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে হস্টেল এবং অন🐟্যান্য খরচ বাবদ ৩ লক্ষ টাকা মেটাতে হবে। যদিও এসটি পড়ুয়া হিসেবে টিউশন ফিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে হস্টেলের খরচ এবং অন্যান্য আনুসঙ্🧔গিক যে খরচ তা ছাত্রের পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব ছিল না। এই অবস্থায় অর্থাভাব ছাত্রীটির কাছে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ছাত্রীর পরিবার আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ায় এই অর্থ দেওয়ার মতো ক্ষমতা ছিল না তাদের।
জানা যাচ্ছে, পরিবারের অবস্থা এতটাই খারাপ কোনও আইটি কলেজে তো দূরের কথা সাধারণ ডিগ্রি কলেজে পড়ানোর সামর্থ্য ছিল না তাদের। এই অবস্থায় ছাত্রীর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাইরে থেকে সাহায্য প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন ওই কলেজের অধ্যাপক বুক্যা লিঙ্গম নায়ক।আরও জানা যায়, সম্প্রতি অসুস্থ হಞয়ে পড়েছেন মধুলতার বাবা। সেই কারণে পরিবারের দায়িত্বভার নিজের কাঁধে নিয়েছেন তিনি। তাই বাধ্য হয়েই তাঁকে ছাগল চড়াতে দেখা যায়।
নেটমাধ্যমে সেই ছবি ভাইরাল হতেই মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তারা ওই ছাত্রীকে সাহায্যের আশ্বাস দেন🧔। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মধুলতার শিক্ষাগত খরচের জন্য ১.৫ লক্ষ টাকার একটি আর্থিক সাহায্যের প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন। পাশাপাশি তেলাঙ্গানা সরকারের আদিবাসী কল্যাণ বিভাগ তাঁর শিক্ষা🌞র জন্য একটি পোস্ট ম্যাট্রিক বৃত্তি অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত বৃত্তিতে বিভিন্ন শিক্ষাগত খরচ বহন করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে টিউশন, হোস্টেল ফি, স্বাস্থ্যবিমা, এবং অন্যান্য ফি। এর পরিমাণ হল ২.৫ লক্ষ টাকা।
মধুলতার শিক্ষার জন্য ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) কার্যনির্বাহী সভꩵাপতি কেটি রামা রাও (কেটিআর) তার আর্থিক সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর সমস্যা জানার পর, কেটিআর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছাত্রীর শিক্ষাগত দিক দিয়ে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি যাতে আর্থিক বাধা ছাড়াই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য জোর দেন।এখন আর্থিক সাহায্য পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি মধুলতা এবং তাঁর পরিবার। তিনি এবার নিশ্চিন্তে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন।