প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন
বাম কংগ্রেস তো ছিলই। এবারের ভোটে ত্রিপুরায় নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে উঠে এল তিপ্রা মোথা। দ্বিতীয় শক্তিধারী দল বলা ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚযেতেই পারে। তারা পেয়েছে ১৩টি আসন। অন্যদিকে সিপিএম পেয়েছে ১১টি ও কংগ্রেস পেয়ে𒊎ছে ৩টি আসন। বিজেপি ৩২টি আসন পেয়েছে। তার সহযোগী আইপিএফটি পেয়েছে ১টি আসন।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকর൲া প্রত্যাশা করেছিলেন রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্য়োৎ কিশোর দেববর্মা হয়তো কিং মেকারের ভূম♍িকা নেবেন।কিন্তু সেটা আর হল না।
এবার ৪২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তিপ্রা মোথা। গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবি তুলেছিলেন তারা। এনিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন তারা। কিন্তু সফল কিছু হয়নি। এরপর ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত। গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের লিখিত প্রতিশ্রুতি না পেলে তারা কারোর সঙ্গে জোট করবಌে না বলে জানিয়েছিল।
৪২টি আসনের মধ্য়ে তিপ্রা মোথা পেয়েছে ১৩টি আসন। ৫৫টি আসনে লড়াই করে ৩২টি আসন পেয়েছে বিজেপি। ৪৭টি আসনের মধ্য়ে সিপিএম পেয়েছে ꧙মাতও্র ১১টি আসন।
তিপ্রা মোথার বিকে রংখল জানিয়েছেন, ভোটাররা যা ফলাফল জানিয়েছে তা মেনে নিয়েছ🀅ি।আমরা রাজ্য়ের উন্নয়নের কাজ করব। ১৭-১৯টি আসন জিতব ভেবেছিলাম। ফলাফল পর্যালোচ𝐆না করা হবে। তবে কেন কিছু আসনে হারলাম তা কিছুট��া বুঝতে পেরেছি।
২০২১ সালের তিপ্রা মোথা শুরু করেছিলেন প্রদ্য়োৎ কিশোর। তাঁর দাবি গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড দিতে হবে। তাদের এই দাবির জেরে তারা দ্রুত প্রত্যন্ত এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেন। ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়া অটোনোমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলেও তারা ক্ষমতা পেয়েছিলেন। দল তৈরির দুমাসের মধ্য়ে এই ভোট হয়েছিল। সেখানে ২৮টি আসনের মধ্যে তিপ্রা মোথা পেয়েছিল ১৮টি আসন। 🌸 সেবার ৯টা আসন পেয়েছিল বিজেপি। একটি পেয়েছিল নির্দল প্রার্থী।
তবে এবার বিধানসভা ভোটে ক্ষমতা দখল থেকে দূরেই থাকল তারা। কিন্তু বাম-কংগ্রেসের থেকে তারা এগিয়েই থাকল। এদিকে এবার ভোট প্রচারে এসে বিজেপির তাবড় নেতারা তিপ্রা মোথাকে নিশ🐽ানা করে তির ছুঁড়তেন। তৃণমূলকে তারা ধর্তব্যের মধ্য়েই রাখেনি। তবে এবার সেই তৃণমূল খাতাই খুলতে পারেনি ত্রিপুরায়। কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে তিপ্রা মোথা।