অস্ত্র প্রশিক্ষণ চলাকালীন বেঘোরে প্রাণ গেল দুই অগ্নিবীরের। শুক্রবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাস🃏িক জেলার আর্টিলারি সেন্টারে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, এদিন ওই আর্টিলারি সেন্টারে আগ্নেয়াস্ত্র চালাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚনোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। সেই সময়েই ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একটি আগ্নেয়াস্ত্র থেকে বের হওয়া একাধিক শেল ফেটে যায়। সেই বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ খোয়াতে হয় দুই অগ্নিবীরকে।
নিহত দুই অগ্নিবীর হলেন গোহিল বিশ্বরাজ সিং এবং সয়ফত শিট। তাঁদের মধ্যে পဣ্রথম জনের বয়স ২০ বছর এবং দ্বি🔴তীয় জনের বয়স ২১ বছর।
ঘটনার সত্যতা স্বীকা🌺র করে সংশ্লিষ্ট এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অগ্নিবীরদের একটি দলকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। তাঁরা একটি ভারতীয় ফিল্ড গান চালানো শিখছিলেন। সেই সময়েই হঠাৎ একাধিক শেল ফেটে বিপদ ঘটে।
ওই 𒆙আধিকারিক আর♊ও জানান, এই বিস্ফোরণে দুই অগ্নিবীর গুরুতর জখম হন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে দেওলালিতে অবস্থিত এমএইচ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই দুই অগ্নিবীরকে পরীক্ষা করে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার পর হাবিলদার অজিত কুমার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। দেওয়ালালি ক্যাম্প পুলিশের কা♋ছে দায়ের হওয়া ওই অভিযোগে দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকারীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
কী এই অগ্নিবীর প্রকল্প?
উল্লে♛খ্য, করোনা পরবর্তী সমꦉয়ে মূলত তরুণদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে অগ্নিবীর প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার।
স্থির হয়, ১৭ বছর ৬ মাস থেকে ২১ বছর বয়সীদের এই প্রকল্পের আওতায় ভারতের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর অধীনে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে, তাঁরা মাত্র চারবছরের জন্য এই সুযোগ পাবেন। এর জন🌟্য তাঁদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র চালনা-সহ সেনার অন্য়ান্য প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।
এই প্রকল্পের অধীღনে অগ্নিবীরদের ভারতীয় সেনা, ভারতী বায়ুসেনা এবং ভারতীয় নৌসেনায় কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। বলা হয়, চার বছর নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত থাকার পর, তাঁদের কাজের নিরিখে ২৫𝐆 শতাংশ অগ্নিবীরকে স্থায়ীভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। বাকিদের নিয়োগকাল চারবছর পরই শেষ হয়ে যাবে।
প্রথম থেকেই এই প্রকল্প নিয়ে নানা বিতর্ক চলছে। শুক্রবার নাসিকে যে ঘটনা ঘটল, তার জেরে সেই বিতর্ক আরও বা🍌ড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।