রামেশ্বরম কাফে বিস্ফোরণে গ্রেফতার হওয়া দু’জন অভিযুক্তকে বেঙ্গালুরু নিয়ে গেল এনআইএ। শুধু তাই নয়, এই দুই অভিযুক্তকে আজ, শনিবার বেঙ্গালুরু আদালতে পেশ করা হয়। নিউ দিঘার হোটেল থেকে শুক্রবার এনআইএ গ্রেফতার করেছিল মূল মাস্টারমাইন্ড ও তার সহযোগীকে। আবদুল মথিন আহমেদ ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন সাজিব এই🧸 দুই আইএস জঙ্গি এক মাস ধরে কলকাতা–সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে নাম ভাঁড়িয়ে লুকিয়ে ছিল। কলকাতায় যে নিরাপদে থাকা যাবে না সেটা বুঝতে পেরেই এই দুই অভিযুক্ত শহর থেকে ১৮০ কিমি দূরে কাঁথিতে গা–ঢাকা দেয়।
এই দু’জন অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে এনআইএ টিম কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশ—এই তিন রাজ্যের ১৮টি জায়গায় ঘুরপাক খেয়েছিল। কিন্তু কোনও নাগাল পাওয়া যায়নি। আসলে এরা তামিলনাড়ুর দুই ব্যক্তির আধার কার্ডের নম্বর ব্যবহার করছিল। যার জন্য তাদের সহজে ধরা যাচ্ছিল না। বাংলার লজে পর্যন্ত ভুয়ো পরিচয় দিয়ে তারা গা–ঢাকা দিয়েছিল। এই দুই জঙ্গি ধরা পড়ার পর বা🌠ংলাকে জঙ্গিদের নিশ্চিত আশ্রয়স্থল বলে প্রচার শুরু করে বিজেপি। পাল্টা জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘ওরা কর্ণাটকের বাসিন্দা। বাংলায় লুকিয়ে ছিল। খবর পেয়েই দু’ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাও নাকি বাংলা সেফ নয়। তাহলে কি গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ সেফ?’
আরও পড়ুন: ‘সব পুলিশ খারাপ নন, তিন চারজনের নাম আমার ক꧑াছে আছে’, হুঁꦛশিয়ারি মমতার
এই দুই জঙ্গিকে পাকড়াও করতে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়। তারপর নিউ দিঘায় তাদের অবস্থান জানতে পারা যায়। তখনই নয়াদিল্লি ও বেঙ্গালুরু থেকে এনআইএ টিম সেখানে পৌঁছে রাজ্য পুলিশকে খবর দেয়। রাজ্য পুলিশের সাহায্য নিয়েই জঙ্গ꧃িদের পাকড়াও করা হয়। এই দুই জঙ্গির কাছ থেকে মিলেছে ল্যাপটপ, মোবাইল, আইএস কর্মকাণ্ডের প্রচারের লিফলেট–সহ নানা সামগ্রী। এই দুই জঙ্গিদের বাংলার এনআইএ আদালতে তোলা হয়। তারপর তিনদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে জঙ্গিদের বেঙ্গালুরু নিয়ে এসেছে এনআইএ। এনআইএ সূত্রে খবর, আবদুল মথিন আহমেদ ত্বহা মাস্টারমাইন্ড কাফে বিস্ফোরণের। আর মুসাভির হুসেন সাজি🦄ব ওই বিস্ফোরক রেখে এসেছিল কাফের ভিতর।