গত ১৪ ফেব্রুয়ারি টাটা গোষ্ঠী ঘোষণা করে, টার্কিশ এয়ারলাইনসের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইলকার আইসিকে এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত করা হবে। সেই ঘোষণার মাত্র দুই সপ্তাহꦚ পরেই সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন তুরস্কের এই নাগরিক। উল্লেখ্য, এয়ার ইন্ডিয়া আইসির নাম প্রকাশ করতেই তা নিয়ে চাপা গুঞ্জন উঠেছিল। আরএসএস আইসির নিয়োগের বিরোধিতা করে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল যাতে আইসিকে ক্লিয়ারেন্স না দেওয়া হয়। এই আবহে এবার আইসি নিজেই টাটা গোষ্ঠীর প্রস্তাব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন।
৫১-এর ইলকার এর আগে তুরস্কের বিমান সংস্থা সামলেছেন। তাই তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগ💃াতেই এয়ার ইন্ডিয়ার শীর্ষ পদে বসানোর ঘোষণা করেছিল টাটা গোষ্ঠী। তবে ইলকার আইসি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এদিকে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-তুরস্ক সম্পর্ক তলানিতে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে এরদোগান। ভারতের সঙ্গে তুরস্কের দূরত্ব তৈরির হওয়ার মধ্যেই পাকিস্তানের খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এরদোগানের দেশ। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, ইলকারের ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখবে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র। তবে এর নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই বলে জানিয়েছিল সরকার। জানানো হয়েছিল, যখনই ভারতের কোনও সংস্থার প্রধান হিসেবে কোনও বিদেশিকে নিযুক্ত করা হয়, তখন এই ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড তেক করা হয়।
উল্লেখ্য, ইলকার আইসি ১৯৭১ সালে তুরস্কের ইস্তানবুলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত রিসেপ তায়িপ এরদোগানের উপদষ্টা ছিলেন। সেই সময়কালে তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইস্তানবুলের মেয়র ছিলেন। ইলকার বিলকেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং জনপ্রশাসনে ডিগ্রি নিয়েছেন। তিনি ইস💮্তানবুলের মারমারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে স্নাতকোত্তরও করেছেন। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টার্কিশ এয়ারলাইন্সের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। এই বিমান সংস্থার হাল ফেরানোর জন্য তাঁকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। আর সেই সুনামের ফলেই টাটা গোষ্ঠী তাঁকে এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব দিতে আগ্রহী ছিল।