'এই নির্বাচন কমিশনকে ভেঙে নতুন করে তা গড়ে তোলা উচিত।' বাবার তৈরি করা দল ও প্রতীক হারিয়ে এভাবেই নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ শানালেন মহাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, 'আমি আপনাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনারা এখানে কেন আছেন? আমার কাছে কিছুই নেই, আমার থেকে সব চুরি হয়ে গিয়েছে। তাও আপনারা এখনও এখানে কেন? অন্য দল আমাদের নাম ও প্রতীক নিয়ে নিলেও তারা আমাদের ঠাকরের নাম নিতে পারবে না। আমি ভাগ্যবান যে বালাসাহেব ঠাকরের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। দিল্লির সাহায্য নিয়েও তারা তা ছিনিয়ে নিতে পারবে না।' এদিন তিনি শিবসেনা লেখা বোর্ডের সামনে বসেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। (আরও পড়ুন: তু♍রস্ক থেকে পাঠানো বন্যাত্রাণই সেদেশে পাঠিয়🥃ে নিজের নাক কাটাল পাকিস্তান)
উদ্ধব এদিন বলেন, '💮শিবসেনার নাম ও প্রতীক চুরির পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল এটা। নির্বাচন কমিশনের আদেশ ভুল। ভারতের যেকোনও দলের সঙ্গেই এটা ঘটতে পারে। স্বৈরাচার থাকতে পারে এবং ২০২৪ সালের পর নির্বাচন নাও হতে পারে। বিষয়টিকে আরও জটিল করার জন্য তাড়াহুড়ো করে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে বলেই আমার মনে হচ্ছে। দিল্লিতে বসে যারা শিবসেনাকে শেষ করার ষড়যন্ত্র করছে, তারা সফল হবে না। আমি আমার নীতি ত্যাগ করিনি। আমি কখনই হিন্দুত্ব ছাড়িনি, যে হিন্দু তার এখন কথা বলা উচিত।' এরপর তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন ভেঙ্গে দেওয়া উচিত।য় কিছু নির্দিষ্ট লোককে বাছাই করে এই কমিশন গঠন করা ঠিক নয়। যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্𝓡যমে এর পুনর্গঠন করা উচিত।'
এদিকে মমতা আর শরদ পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে বলে জানান উদ্ধব। তিনি বলেন, 'শরদ পাওয়ার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। নীতীশ কুমার ফোন করেছিলেন। কিন্তু আমি তাঁর ফোন মিস করেছি। তাঁর সঙ্গে কথা হবে।' প্রসঙ্গত, শুক্রবার নির্বাচন কমিশন শিবসেনা বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে বড় ধাক্কা দেয় উদ্ধব শিবিরকে। এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে কমিশন বলে, একনাথ শিণ্ডের 𝄹গোষ্ঠীই হল বালাসাহেবের তৈরি 'আসল' শিবসেনার নেতা। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে শিবসেনার বর্তমান সংবিধান অগণতান্ত্রিক। কোনও নির্বাচন ছাড়াই অগণতান্ত্রিকভাবে একটি গোষ্ঠীর লোকদের পদাধিকার বলে নিয়োগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দলের দখল রাখতে নিজের আস্থাভাজꦇনদের নেতা পদে নিয়োগ করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তবে নির্বাচন কমিশন সেই নিয়োগকে বেআইনি আখ্যা দেয়। এই আবহে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের জেরে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের সন্তান উদ্ধব ঠাকরেই পার্টি থেকে বেরিয়ে যেতে হচ্ছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০১৮ সালে শিবসেনার সংশোধিত সংবিধান কমিশনে জমা দেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, এর ꦕআগে কমিশনের চাপে পড়ে ১৯৯৯ সালে প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরে তাঁর দলের সংগঠনে সংশ🔴োধনী এনেছিলেন। ২০১৮ সালের সংবিধানে সেই সব সংশোধনী বাতিল করা হয়েছিল। এই আবহে কমিশনের পর্যবেক্ষণ, শিবসেনার বর্তমান সংবিধান অগণতান্ত্রিক। ১৯৯৯ সালে এই সব নিয়ম কমিশন গৃহণ করেনি। গোপন পদ্ধতিতে তা ফিরিয়ে আনা হয় ২০১৮ সালে। এখন নির্বাচন কমিশনের এই সব যুক্তির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে দ্বারস্থ উদ্ধবপন্থীরা।