উমর খালিদ। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তন ছাত্রনেতার নামের সঙ্গে পরিচিত অনেকেই। দিল্লি দাঙ্গা মামলায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তিনি জেল হেফাজতে। বোনের বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি জেল থেকে বেরিয়েছিলেন। আর ৭দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের দিনগুলোতে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কেমন কাটল তার? এবার এনিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছেন তার বাঙালি বান্ধবী বনজ্যোৎস্না লাহিড়ী।সেই টুইটারের সঙ্গে দুকথা লিখেওছেন তিনি। উমর খালিদ লিখেছেন, একেবারে দারুনভাবে কাটালাম একটা সপ্তাহ। হাসিখুশি, আনন্দ, ভালো খাবারদাবার, ফুর্তি একেবারে পুরোদমে। তবে এই কয়েকদিন আমাদের একেবারে একটুও উদ্বেগ ছিল না। দুঃখও ছিল না। উমরের মা যেমন বলেছেন এই একটা সপ্তাহ আমরা বুস্টার ডোজ হিসাবে কাটিয়েছি। আগামী দিনে লড়াইটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে …আর সেই সঙ্গে কয়েকটি ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে আত্মীয় বন্ধু পরিজনদের মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছেন উমর খালিদ। একেবারে গ্রুপ ফটো পোস্ট করেছেন উমরের বাঙালি বান্ধবী।একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে কেক কাটছেন উমর খালিদ। বেশ আবেগঘন ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু চর্চিত নাম উমর খালিদ। ভারতীয় দণ্ডবিধির বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)তে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দেশদ্রোহিতার ধারায় অভিযুক্ত তিনি। পাশাপাশি দিল্লি দাঙ্গার সময় পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ, হিংসা ছড়়ানোর অভিযোগ উঠেছিল উমর ও অপর এক প্রাক্তন ছাত্রনেতা সইফির বিরুদ্ধে।তবে এবার দীর্ঘদিন বাদে সামনে এল উমর খালিদের এই ছবি। ইতিমধ্যেই এই ছবিগুলিকে ঘিরে সমাজ মাধ্যমে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উমর খালিদ ও বনজ্যোৎস্নাকে।২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উমর খালিদকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। ইউএপিএ অ্যাক্ট, ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল উমর সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এদিকে সেই দাঙ্গায় ৫৩জনের মৃত্যু হয়েছিল। ৭০০জনেরও বেশি মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনায়।এদিকে বোনের বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য খালিদ দু সপ্তাহের জন্য় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়েছিলেন। ২০ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সাত দিনের জন্য তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হয়।এরপর ২৩ ডিসেম্বর সকালে তিনি তিহাড় জেল থেকে বের হন। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।