তৃতীয় দফার প্রথম বাজেটেই ব্যক্তিগত আয়করের হার কমাতে পারে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের দু'জন আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে স🙈ার্বিকভাবে সকলের ক্ষেত্রে আয়করের হার কমানো হবে না। যে করদাতাদের বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকার বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে আয়করের হার কমানো যায় কিনা, তা নিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। যাঁদের বার্ষিক আয় ১০ লাখ টাকা, তাঁদেরও করছাড় দেওয়া হবে কিনা, সেটা বিবেচনা করে দেখতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। সেইসঙ্গে পুরনো কাঠামোর আওতাধীন যে করদাতাদের ৩০ শতাংশ আয়কর দিতে হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে আয়ের সীমা বাড়ানো যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে আয়কর কমানো হতে পারে?
১) ১৫ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে আয়ের ক্ষেত্রে আয়করে কাটছাঁট: এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখন যে আয়কর কাঠামো আছে, তাতে কিছুটা হেরফের করা হত💎ে পারে। বছরে যে আয়কর দাতাদের করযোগ্য আয় ১৫ লাখ টাকার বেশি, তাঁদের কিছুটা রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আপাতত নয়া আয়কর কাঠামোয় বার্ষিক করযোগ্য আয় ১৫ লাখ টাকার উপরে হলে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে ১৫ লাখ টাকার উপরে আꦇয়করের নয়া স্ল্যাব বা ধাপ যোগ করা হতে পারে। সেই 🍸স্ল্যাবটা ঠিক কী হবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি।
তবে ধরা যাক, একটি নয়া স্ল্যাব যোগ করা হল, যে স্ল্যাবের আওতায় থাকবেন সেইসব করদাতারা, যাঁদের বার্ষিক করযোগ্য আয় ১৫ লাখ টাকার বেশি এবং ১৮ 🎐লাখ টাকার মধ🉐্যে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে ওই স্ল্যাবের মধ্যে যাঁরা পড়েন, তাঁদের আয়করের হার কমানো হতে পারে।
২) ১০ লাখ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর কমানো: ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এক কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন যে বার্ষিক আয় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হলেও আয়করের হার কমানো হবে কিনা, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হতে পারে। আপাতত পুরনো আয়কর কাঠামোয় যাঁদের বার্ষিক করযোগ্য আয় ১০ লাখ টাকার বেশি, তাঁদের ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। তাঁদের জন্য নয়া একটি সীমা নির্ধারণ করার বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে বলে এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে 🔯জানানো হয়েছে।
পুরনো আয়কর কাঠামো (বার্ষিক আয়ের নিরিখে)
১) ২.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়: কর দিতে হয় না।
২) ২.৫ লাখ টাকার বেশি থেকে ৫ লাখ টাকা: ৫ শতাংশ।
৩) ৫ লাখ টাকার বেশি থেকে ১০ লাখ টাকা: ২০ শতাংশ।
৪) ১০ লাখ টাকার বেশি: ৩০ শতাংশ।
নয়া আয়কর কাঠামো (বার্ষিক আয়ের নিরিখে)
১) ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়: আয়করের হার শূন্য।
২) ৩ লাখ টাকার বেশি থেকে ৬ লাখ টাকা: ৫ শতাংশ।
৩) ৬ লাখ টাকার বেশি থেকে ৯ লাখ টাকা: ১০ শতাংশ।
৪) ৯ লাখ টাকার বেশি থেকে ১২ লাখ টাকা: ১৫ শতাংশ।
৫) ১২ ౠলাখ টাকার বেশি থেকে ১৫ লাখ টাকা: ১৫ শতাংশ।
৬) ১৫ লাখ টাকার বেশি: ৩০ শতাংশ।
কেন আয়করের হার কিছুটা হেরফের করা হতে পারে?
তৃতীয় মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট নিয়ে আলোচনায় যুক্ত এক সরকারি কর্তাকে উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ আরও বেশি টাকা খরচ করেন, সেজন্য আয়কর কমানো হতে পারে। আয়কর কমলে তাঁদের হাতে বেশি টাক𒉰া থাকবে। সেই টাকা দিয়ে তাঁরা ভোগ্যপণ্য ক্রয় করবেন। সেইসঙ্গে মধ্যবিত্তের সঞ্চয় বাড়বে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কিছু জানাননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও।