করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশের চারটি শহরকে মডেল হিসেবে চিহ্নিত করল কেন্দ্রীয় সরকার। তালিকায় ইন্দোর, জয়পুর, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু থাকলেও ঠাঁই পায়নি পশ্চিমবঙ্গের কোনও শহর।গত কয়েক দিন ধরে করোনা মোকাবিলায় তাদের অভিজ্ঞতা জানতে চেয়ে দেশের বিভিন্ন পুর নিগমের সঙ্গে আলোচনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আলোচনায় দেখা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণে বিপুল সংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়ায় দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেক বেশি উন্নতি দেখিয়েছে এই চার পুরসভা। এদের মধ্যে জয়পুর ও ইন্দোরে নতুন উপায় প্রয়োগ করে আক্রান্তের হার কমাতে সক্ষম হয়েছে পুর প্রশাসন। অন্য দিকে, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে করোনায় মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। করোনা মোকাবিলায় ভারতীয় শহরগুলি বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময়সীমা কমতে থাকা, আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়া এবং জাতীয় গড়ের তুলনায় মৃতের সংখ্যাবৃদ্ধি। এ ছাড়া কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা, বাফার জোনের পরিধি নির্ণয় এবং বাড়ি বাড়ি ঘুরে সরেজমিনে করোনা পরীক্ষার মতো জটিল সমস্যা। বিশেষ অসুবিধা দেখা দিয়েছে বড় শহরের বস্তি অঞ্চলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বাড়ি বাড়ি ঘুরে সংক্রমণের হার নির্ণয়ে ইন্দোর শহরে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শহরের বাইলেনগুলিতে নজরদারির উদ্দেশে বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল গড়া হয়েছে। জয়পুরে আবার বিভিন্ন এলাকায় মুদিখানা ও সবজির ব্যাপারীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে কড়া হাতে। সকালের দিকে দোকানে ভিড় বাড়ার কারণে বিশেষ নজর রাখছেন পুলিশ ও পুরকর্মীদের দল। নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে শহরের ওই সমস্ত এলাকা। চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে গোড়ার দিকে আক্রান্তের সংখ্যা লাগামছাড়া হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে করোনায় মৃত্যুর হার। একই সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় প্রশংসিত হয়েছে মুম্বইয়ের বৃহন্মুম্বই পুর নিগমের নেওয়া কৌশল। আক্রান্তদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য শহরে বেসরকারি হাসপাতাল এবং পুরসভার স্বাস্থ্য পরিষেবার নেটওয়ার্ক সক্রিয় রাখা হয়েছে। রোগীদের সুবিধায় মুম্বই ও শহরতলির হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা হওয়া সংক্রান্ত জরুরি তথ্যও অনলাইনে দিচ্ছে বিএমসি।