অসমের মুসলিম সম্প𝄹্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্তও্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অসমিয়া মুসলিম আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য অনন্য পরিচয় করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার তিনি জানান, এই পরিচয় তৈরি করলেই রাজ্যে তাঁরা সুরক্ষিত থাকবেন। এদিন ১৫০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেখানে এই সম্প্রদায়ের মানুষজন নানা অসুবিধা এবং সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পক্ষ থেকে জনসংখ্যা নীতির কথা তাঁদেরকে জানান।
এই বৈঠকে পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আজ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি। যেখানে অসমিয়া মুসলিমদের নানা সমস্যার সম্মুখীণ হতে হচ্ছে। তাঁদের একটা স্বতন্ত্র পরিচয় রয়েছে। উচ্চমানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। এই বৈঠকে শুধুমাত্র স্বতন্ত্র অসমিয়া মুসলিমদের অনন্য সংস্কৃতি–কৃষ্টিকে সুরক্ষিত এবং সংরক্ষিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, বাঙালি মুসলিম যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তাঁদের সঙ্গে অসমের এই স্বতন্ত্র মুসলিম সমাজের নানা পার্থক্য রয়েছে। অসমের মুসꦏলিমরা অসমিয়া ভাষায় কথা বলে। তাঁদের সংস্কৃতির সঙ্গে অসমের হিন্দু সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির মিল রয়েছে। অথচ বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমদের সঙ্গে বিরাট পার্থক্য রয়েছে।
এই অসমের স্বতন্ত্র মুসলিমরা মোটামুটি তিন ভাগে বিভক্ত—গোরিয়া, মোরিয়া এবং দেশি। তাদের আবার কিছু ছোট গোষ্ঠী আছে–মৌমাল, ঝুলহা, উজানি–সহ নানারকম। ২০১১ সালের আদমসুমারি অনুযায়ী, অসমে ১ কোটি ৬৭ লক্ষ 😼মুসলিম রয়েছে। মে মাসে অসমে ক্ষমতায় এসেই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমদের পরিবার পরিকল্পনার উপর জোর দেন। সামাজিক সমস্যা এবং দারিদ্রতা কমাতে এটাই দাওয়াই বলে তিনি মনে করেন।
এই বিষয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘অসমে জনবিস্ফোরণই সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় বাধা। যদি আমাদের পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে জায়গা করতে হয় তাহলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতেই হয়। আর তখনই উন্নতিᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ ঘটবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক পরিচয়, আর্থিক বৃদ্ধি এবং 🦋মহিলাদের ক্ষমতায়ন–সহ নানা বিষয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আগামী পাঁচ বছরের রোড ম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। এদিন অসমের স্বতন্ত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এর পরে বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমদের সঙ্গেও বৈঠক করা হবে।’ ইতিমধ্যেই দুই সন্তান নীতি চালু হয়েছে অসমে।