সাড়ে ছয় লাখ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও ২০,৫০০ কারখানায় কর্মরত বাছাই করা শ্রমিকদের তীর্থযাত্রার জন্য মাথাপিছু ১২,০০০ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার।আগামী ২৪ জানুয়ারি রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে স্বামী বিবেকানন্দ ঐতিহাসিক পর্যটন যাত্রা প্রকল্পের অধীনে উত্তর প্রদেশের প্রায় দেড় কোটি শ্রমিকের থেকে তীর্থযাত্রার অনুদান পেতে আবেদন জমা নেবে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের শ্রমিক উন্নয়ন বোর্ড।বোর্ড চেয়ারম্যান তথা উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সুনীল ভারালা জানিয়েছেন, ‘পর্যটনের জন্য অযোধ্যায়, মথুরা, প্রয়াগরাজ ও বারাণসীর মতো ধর্মীয় শবরছাড়াও মেরঠের হস্তিনাপু, গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দির, শাকম্ভরী দেবী ও বিন্ধ্যবাসিনী দেবীর মন্দির তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আমরাআগরা যাওয়ার অনুমোদনও দিচ্ছি। এ ছাড়াও অন্যান্য স্থানে ভ্রমণের জন্য উপভোক্তাদের পৃথক আবেদন জানাতে হবে।’গত ১০ নভেম্বর আরএসএস নেতা তথা ভারতীয় মজদুর সংঘের প্রতিষ্ঠাতা দত্তপন্থ থেঙ্গাডির জন্ম বার্ষিকীতে এই প্রকল্পের প্রস্তাব প্রথম দেওয়া হয়। ভারালা জানিয়েছেন, প্রকল্প অনুযায়ী বাছাই করা শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাথাপিছু ১২,০০০ টাকা জমা দেবে সরকার। তাঁর দাবি, কঠোর শ্রমসাধ্য জীবনে অবসরে ভ্রমণের সুবাদে দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে শ্রমিকদের ধারণা তৈরি করতেই এই পরিকল্পনা করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার।ভারালার কথায়, ‘শ্রমিকদের তীর্থযাত্রার জন্য সরকারি অনুদানের এমন পরিকল্পনা আর কোথাও করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’ শ্রমিকসমাজে এই প্রকল্প জনপ্রিয় করে তুলতে রাজ্যের সব বিধায়কের কাছে আবেদন জানিয়েছে বোর্ড।তাঁর দাবি, ‘দলিত নেত্রী তথা সমাজ সংস্কারক জ্যোতিবা ফুলের নামে শ্রমিকদের মেয়ের বিয়েতে সাহায্যের জন্য আমাদের একটি প্রকল্প আছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের নামে শ্রমিকদের শিশুদের কারিগরি শিক্ষা প্রকল্প রয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা সাংবাদিক গণেশ শংকর বিদ্যার্থীর নামে বৃত্তি প্রকল্প এবং শ্রমিকদের আত্মীয়দের জন্য রাজা হরিশচন্দ্রের নামে একটি প্রকল্প আছে। এমনকি দত্তপন্থ থেঙ্গাডির নামে শ্রমিকদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্যও একটি প্রকল্প চালু করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার।’২০২১সালে আরও তিনটি প্রকল্প চালু করতে চলেছে রাজ্য শ্রম দফতর। শ্রমিকদের জন্য তীর্থযাত্রা প্রকল্প ছাড়া প্রয়াত ক্রিকেটার তথা রাজ্যের মন্ত্রী চেতন চৌহানের নামে শ্রমিকদের ক্রীড়াক্ষেত্রে উৎসাহ দান প্রকল্প এবং দরিদ্র পড়ুয়াদের বই কেনার জন্য চালু হবে সাহিত্যিক মহাদেবী ভার্মা নামাঙ্কিত প্রকল্প।