স্পাইওয়ার পেগাসাসের নির্মাতা সংস্থা এনএসও গ্রুপকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করল আমেরিকা। মার্কিন বাণিজ্য দফতরের দাবি, বিভিন্ন দেশের সরকারকে স্পাইওয়ার বিক্রি করে ইজরায়েলি সংস্থা। সেই স্পাইওয়ারের মাধ্যমে সরকারি আধিকারিক, সাংবাদিকদের নিশানা করে থাকে বিভিন্ন দেশের সরকার। একটি বিবৃতিতে মার্কিন বাণিজ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ‘বিদেশি সরকারগুলিকে দেশের সীমানা ছাড়িয়েও দমনের সুযোগ করে দিয়েছে এই ধরনের জিনিসপত্র। যার মাধ্যমে বিরোধী কণ্ঠকে দমিয়ে দিতে নিজেদের সীমান্তের বাইরে বিরোধী, সাংবাদিক এবং সমাজকর্মীদের নিশানা করে থাকে বিভিন্ন স্বেচ্ছাচারী সরকার।’যে এনএসও গ্রুপকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে আমেরিকা, সেই সংস্থার পেগাসাস নিয়ে ভারতেও বিতর্ক চলছে। গত ১৮ জুলাই ‘দ্য গার্ডিয়ান’, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’, ‘দ্য ওয়ার’-সহ ১৭ টি সংবাদমাধ্যমের একটি গোষ্ঠীর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ‘পেগাসাস’ নামে পরিচিত একটি ফোন হ্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী হাজার-হাজার মানুষকে নিশানা করা হয়েছিল। ‘দ্য ওয়ার’-এর প্রতিবেদনে সোমবার দাবি করা হয়েছে, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল। সম্ভাব্য তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও ছিল বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল। যদিও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-কে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার ওই প্রতিবেদনগুলিকে ‘মাছ ধরার অভিযান’ হিসেবে উল্লেখ করেছিল। সঙ্গে দাবি করা হয়েছিল, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপর সরকারি নজরদারি চলছে, সেই দাবির স্বপক্ষে কোনও মজবুত ভিত্তি বা সত্যতা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, ‘মৌলিক অধিকার হিসেবে বাকস্বাধীনতার প্রতিজ্ঞা হল ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি। আমরা সর্বদা খোলামেলা কথোপকথনের সংস্কৃতিতে জোর দিয়ে একটি অবগত নাগরিক সমাজের পক্ষে থেকেছি।’ পরে পেগাসাস 'হ্যাক'-এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈষ্ণব সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করেছিলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট-সহ অতীতে এই ধরনের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে সবপক্ষ। এই অভিযোগের কোনও তথ্যগত ভিত্তি নেই।’