চিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক যে কতটা ‘মধুর’, তা কারোর অজানা নয়। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে ভারত-চিনকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।আজ, বুধবার একটি টুইটবার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা ভারত ও চিন উভয়কেই জানিয়েছে যে তাদের সাম্প্রতিক সীমান্ত বিতর্ক নিয়ে মধ্যস্থতা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৈরি, ইচ্ছুক এবং সক্ষম। ধন্যবাদ!’ ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে ভারতের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াদিল্লিকে সেই প্রস্তাব পাঠিয়েছে কিনা, তাও আপাতত স্পষ্ট নয়।তবে আমেরিকার মধ্যস্থতাকারীর হওয়ার ‘বাসনা’ এই প্রথম নয়। কাশ্মীর ইস্যুতে একাধিকবার আগবাড়িয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অথচ ভারত বারেবারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে, কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই। তারপরও সীমান্ত বিবাদ নিয়ে নয়াদিল্লি-বেজিংয়ের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাবে কিছুটা অবাক কূটনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারও দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে আমেরিকার নাক গলানোর প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।কূটনৈতিক মহলের একটি অংশের মতে, আমেরিকার মধ্যস্থতার প্রস্তাব কোনওভাবেই গ্রহণ করবে না চিন। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মহলে আমেরিকার ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে। নিজেদের বিশ্বের সবথেকে প্রভাবশালী দেশ হিসেবে তুলে ধরার সুবর্ণ সুযোগ পাবে আমেরিকা। যা কোনওভাবেই মেনে নেবে না চিন। এমনিতেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকা-চিনের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। দু'দেশই কোনও রাখঢাক না করে একে অপরের বিরুদ্ধে কড়া শব্দ প্রয়োগ করছে। খোদ ট্রাম্পও জানিয়েছেন, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন না। তারপরও মধ্যস্থতা করার যে প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প, তা কার্যত দিবাস্বপ্ন বলে মত কূটনৈতিক মহলের।