ফের বড়সড় 'ভুল' করে বসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরই মাঝে আবার তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর। তবে প্রচারে হোক কি ডিবেটে, বারবার 'হোঁচট' খাচ্ছেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। কখনও তাঁর কথা জড়িয়ে যাচ্ছে, কখনও বা মুখ ফসকে 'ভুলভাল' কথা বলছেন। সেই তালিকায় সংযুক্ত হল তাঁর নয়া 'কীর্তি'। ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রচারে দাঁড়িয়ে বাইডেন বললেন, '২০২০ সালে ট্রাম্পকে আবারও হারাব'। আর তাঁর সেই মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া কথা নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া। (আরও পড়ুন: সুরাটের বহুতল ভেঙে পড়ার 🐈ঘট♔নায় মৃত ৭, ১৭ ঘণ্টা পরও আটকে আরও বহু)
আরও পড়ুন: লাদাখের দিকে এগোচ্🔯ছে PLA, প্যানগংয়ের কাছেই তৈরি চিনা 🍃বাঙ্কার, মোতায়েন সামরিক যান
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জোড়া এনকাউন্টারে শহিদ ২ জওয়𒁏ান, জবাবে ৪ জঙ্গিকে খতম করল সেনা
বাইডেনের পরপর 'হোঁচট' দেখে ইতিমধ্যেই ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী বদলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন বাইডেন। তাঁর দাবি, তিনি অনায়াসে ট্রাম্পকে হারিয়ে দেবেন। যদিও তাঁর সেই দাবি হজম হচ্ছে না ডেমোক্র্যাটদেরই একাংশের। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, 'ট্রাম্পকে হারানোর জন্যে আমার থেকে যোগ্য কেউ আর আছে বলে আমি মনে করি না। আমাকে যদি স্বয়ং ঈশ্বর এসে বলেন যে আমি ডেমোক্র্যাটদের জয়ের পথে প্রতিবন্ধকতা, তাহলে আমি প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করতে পারি। না হলে নয়। 𒀰যে সব সমীক্ষায় বলা হচ্ছে আমি পিছিয়ে, সেগুলি সঠিক নয়।' আবার এই বাইডেনই সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া ইন্টারভিউতে বলে ফেলেছিলেন, 'আমꦑেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা আমিই।'
এর আগে আগে সিএনএন আয়োজিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী বিতর্কে 'ডাহা ফেল' করেছিলেন জো বাইডেন। রিপাবলিকান প্রার♑্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে বারবার কথা জড়িয়েছিল বর্তমান প্রেসিডেন্টের। এই আবহে তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস পরবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর জন্যে দাবি জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটদেরই অনেকে। তবে বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি পুননির্বাচনে দাঁড়াবেন। এবং তিনি আশাবাদী যে তিনিই এই ভোটে জিতবেন।
এদিকে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে বাইডেনের সহযোগীরা বলেছেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভালো ভাবে কাজ করতে পারেন বাইডেন। তারপরই তি♏নি একটু দুর্বল বোধ করেন এবং তাঁর কথা জড়িয়ে যায়। প্রসঙ্গত, বয়সের চাপে ঝুঁকে পড়া বাইডেনকে নিয়ে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ঠাট্টা তামাশা হচ্ছে। ট্রাম্পও বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তোপ দেগেছেন বারংবার। আর ডিবেটে বাইডেনের খারাপ পারফর্ম্যান্সের পরে দলের মধ্যেই তাঁকে সরানোর বিষয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে নির্বাচনের মাত্র কিছু মাস আগে এই বদল আনা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। তবে বাইডেনের কর্মক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেক ডেমোক্র্যাটই।