এই বছরের নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকানদের তরফ থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিবিদ নিকি হ্যালি। তাও তিনি হাল ছাড়ছেন না। তবে গতকালই নিজের ঘরেও লজ্জাজনক হারের মুখোমুখি হলেন নিকি। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ক্যারোলিনায় প্রাইমারিতেও নিকি হ্যালিকে হারালেন ডোনল্ড ট্রাম্প। উল্লেখ্য, এককালে এই প্রদেশের গভর্নর ছিলেন নিকি। তাই এই প্রদেশই তাঁর 'ঘর'। তবে নিজের ঘরের মাঠেও ট্রাম্পের কাছে হারতে হল তাঁকে। তা সত্ত্বেও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়ছেন না নিকি। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বড় রাজনীতিক দল রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী ঠিক করতে প্রাইমারি অনুষ্ঠিত করে থাকে। দলীয় প্রাইমারিতে জিতলে পরে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদপ্রার্থী হওয়া যায়। রিপাবলিকানদের তরফ থেকে এই প্রাইমারিতে আপাতত একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন নিকি এবং ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছেন নিকি। (আরও পড়ুন: ಞ'ফাঁক গলে রেহাই মিলবে না', লোকসভা ভোটের আগে আমলা বদলি💯 নিয়ে কড়া নির্বাচন কমিশন)
প্রসঙ্গত, পঞ্জাবি বংশোদ্ভূত নিকি দু'বার দক্ষিণ ক্যারোলিনার গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এদিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্রমেই অভিযোগের পাহাড় জমছে। বহু ক্ষে𒁏ত্রেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলা মামলাগুলির মধ্যে সবথেকে গুরুতর হল গত মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বদলের চেষ্টার অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে নিকি শিবির মনে করছে, এই মামলায় যদি ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, তাহলে হয়ত এগিয়ে থেকেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, এখন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৪টি ফৌজদারি মামলা চলছে। ꦫআবার সম্প্রতি একটি দেওয়ানি মামলায় ট্রাম্পকে ৩৫৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই সব আইনি সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে পারে বলে 'আশা' করছে নিকি শিবির। আর তা যদি নাও বা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ২০২৮ সালের নির্বাচনের জন্য নিজের পথ মসৃণ করে রাখতে চাইছেন নিকি।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প জমানায় রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছিলেন নিকি। পরে ২০১৮ সালে ট্রাম্পের ♍প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করেছিলেন নিকি। ট্রাম্পের সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরেই সেই পদক্ষেপ ক✤রেছিলেন তিনি। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে থেকে নিকি আদতে নিজের লড়াকু মনোভাব তুলে ধরতে চাইছেন রিপাবলিকান ভোটারদের কাছে। তবে তা সত্ত্বেও নিজের প্রদেশ সহ মোট পাঁচটি প্রদেশের প্রাইমারিতে ট্রাম্পের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থেকেই হারতে হয়েছে নিকি হ্যালিকে। যার জেরে এবারে তাঁর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে।