'Arunachal Pradesh integral part of India': মার্কিন সেনেট যে দ্ব্যর্থহীনভাবে অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে, তা এই প্রস্তাবনায় তুলে ধরা হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্য যে একতরফা পদক্ষেপ করছে চিন এবং আগ্রাসী সামরিক পদক্ষেপ করছে, তাও ও꧙ই প্রস্তাবনায় সমালোচনা করা হয়েছে।
ম্যাকমোহন লাইনকে অরুণাচল প্রদেশ এবং চিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় আমেরিকা। এমনই জানানো হয়েছে মার্কিন সেনেটে পেশ করা একটি প্রস্তাবনায়। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন সেনেটের একটি প্রস্তাবনায় স্পষ্টভাষায় জানানো হয়েছে যে অরুণাচল প্রদেশ হল ভারতের অখণ্ড এ♒বং অবিচ্ছেদ্য অংশ। তা সত্ত্বেও চিন যেভাবে অরুণাচল সীমান্তে আগ্রাসী সামরিক পদক্ষেপ করছে, সেই নীতিরও কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন সেনেটে সেই প্রস্তাব পেশ করেন সেনেটর বিল হ্যাগার্টি এবং সেনেটর জেফ মার্কলে। মঙ্গলবার প্রস্তাবনা পেশের পর হ্যাগার্টি জানান, সেনেট যে দ্ব্যর্থহীনভাবে অ♐রুণাচল প্রদেশকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে, তা এই প্রস্তাবনায় তুলে ধরা হয়েছে। প্রকৃত নি𝕴য়ন্ত্রণরেখা বরাবর অবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্য যে একতরফা পদক্ষেপ করছে চিন এবং আগ্রাসী সামরিক পদক্ষেপ করছে, তাও ওই প্রস্তাবনায় সমালোচনা করা হয়েছে।
এমন একটা সময় সেনেটে ওই 🌠প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, যখন পূর্ব লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত এবং চিনের সীমান্ত সংঘাত তিন বছর পূর্ণ করতে চলেছে। ২০২০ সালের এপ্রিল ও মে'তে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত শুরু হয়। তারইমধ্যে গত বছর অরুণাচল প্রদেশে আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করে চিন। সেই ꧑চেষ্টা ভারতীয় সেনার তরফে রুখে দেওয়া হয়। যে অরুণাচল প্রদেশকে বরাবরই নিজেদের দেশের অংশ বলে বরাবর দাবি করে আসছে বেজিং। যা চিনের আগ্রামী এবং সম্প্রসারণকারী নীতির অংশ বলে মত কূটনৈতিক মহলের। তবে চিনের সেই দাবি বরাবরই উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
ম্যাকমোহন লাইন কী?
ভারত এবং চিনের মধ্যে যে ✱সীমানা টানা হয়েছে, সেটা ম্যাকমোহন লাইন হিসেবে পরিচিত। স্যার হেনরি ম্যাকমোহনের নামে সেই নামকরণ করা হয়েছিল। ওই সীমানার দৈর্ঘ্য পꦓ্রায় ৮৯০ কিলোমিটার। উল্লেখ্য, একটি নির্দিষ্ট সীমান্তের জন্য ১৯১৪ সালে শিমলা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ব্রিটিশ শাসনে থাকা ভারত এবং তিব্বত। যদিও অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে চিন।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )