অশান্তির আগুনে পুড়ছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল। এই সংঘর্ষের জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪। রিপোর্ট অনুযায়ী, সংঘর্ষে জখম আয়ান নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এরই মাঝে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব অভিযোগ করলেন, বিজেপি ইচ্ছে করে এই হিংসার আগুন লাগিয়েছে সম্ভলে। বিধানসভা উপনির্বাচনে কারচুপির বিষয়টি যাতে ধামাচাপা পড়ে যায়, তাই নজর ঘোরাতে এই হিংসার আগুন জ্বালানো হয়েছে বলে দাবি উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। (আরও পড়ুন: দল হারানোর পর এবার পরাজয়♑ ভোটেও, নির্বাচ꧂নী ভাইপো অজিতের ফল নিয়ে অকপট শরদ পাওয়ার)
আরও পড়ুন: ভারত-মার্কিন চুক্তির জের,এভাবে হুট করে আদানিকে তলবের নোটিশ পাঠাতে পারে না US SꦗEC
এদꦦিকে রাজ্যের মন্ত্রী জয়বীর সিং বলেন, 'সম্ভলের ঘটনাটি প্ররোচিত ঘটনা বলে মনে হচ্ছ🍒ে... আদালত একটি সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে এবং সেই আদেশ পালন করা প্রত্যেকের কর্তব্য... কেউ যদি এর সাথে একমত না হয় তবে তার জন্য অন্য প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তারা তাদের চিন্তাভাবনা সেখানে সামনে রাখতে পারে। বিচারব্যবস্থা আছে... কিন্তু গুন্ডামি করার এবং আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অধিকার কারও কি আছে? এসব লোকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
উল্লেখ্য, রবিবার উত্তরপ্রদেশের সম্ভল এলাকায় নতুন করে শাহি জামা মসজিদের সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়। আদালতের নির্দেশেই মুঘল জমানার এই মসজিদে সমীক্ষা চালানো হচ্ছিল। এই আবহে রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ এলাকায় পৌঁছে যান সমীক্ষক দলের সদস্যরা। সেই দলে ছিলেন জেলাশাসক রাজেন্দ্র পানসিয়া, পুলিশ সুপার কৃষ্ণ বিষ্ণোই, মহকুমাশাসক বন্দনা মিশ্রা, সার্কেল অফিসার অনুজ চৌধুরী এবং তহসিলদার রবি সোনকর। সমীক্ষা চলাকালীন যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশের বিরাট বাহিনী এবং ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছিল সেখানে। (আরও পড়ুন: নতুন মুখ্যমন্ত্রী পাবে মহারাষ্ট্র! BJP-র꧟ হয়ে সওয়াল অ🅰জিত পাওয়রের NCP-র)
আরও পড়ুন: আজ তৈরি হবে ༺🅘গভীর নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় পরপর বৃষ্টির পূর্বাভাস
তবে পুলিশ নিয়ে সমীক্ষকরা সেই এলাকায় পৌঁছতেই উত্তেজনাছড়িয়ে পড়ে। এরপর শুরু হয় সংঘর্ষ। আর মুহূর্তে হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে লক্ষ করে পাথর ছুড়তে শুরু করে স্থানীয়রা। একের পর এক গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। সেই সময় হামলাকারীদের কেউ কেউ গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। আজ পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন বন্দুকে ব্যবহৃত আলাদা আলাদা বুলেটের শেল উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। এদিকে সংঘর্ষে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গি𒐪য়েছে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় একটি আদালতের নির্দেশ অনুসারে সম্ভলের ওই মসজিদে সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর 🌳কেলা দেবী মন্দির কমিটির তরফ থেকে চনদৌসির একটি আদালতে মামলা রুজু করা হয়। মামলাকারীদের দাবি, সম্ভলের শাহি জামা মসদিজ আসলে শ্রী হরিনাথ মন্দির। যা সম্রাট বাবরের শাসনকালে, ১৫২৯ সালে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। এই আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিচারক আদিত্য সিং ওই দিনই মসজিদের ভিডিয়োগ্রাফি সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো সমীক্ষা হয় সেই মসজিদে।