অন্ধ্রপ্রদেশের রেল দুর্ঘটনার রেশ কাটতে কাটতেই ফের আরও এক রেল দুর্ঘটনা। এবার দুর্ঘটনা উত্তর প্রদেশে। সেখানে সুহেলদেব সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস দℱুর্ঘটনার কবলে পড়ে যায়। গাজিপুর থেকে আনন্দবিহারগামী ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। রেলের তরফে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই।
রেলের তরফে জনসংযোগ আধিকারিক অমিত মালব্য জানিয়েছেন, ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটে গেল, তা নিয়ে রয়ে গিয়েছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, ট্রেনটি লাইনচ্যূত হওয়ার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। প্রসঙ্গত, জুন মাসেই দেশ দেখেছে ভয়াবহ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা। ওড়িশার বালাসোরের সেই ঘটনার পর সদ্য অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজিয়ানগরমে ঘটেছে আরও এক দুর্ঘটনা। তার জেরে মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৫০। এই পরিস্থিতিতে যখন রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তখনই ফের একবার দুর্ঘটনার কবলে দেশের আরও এক ট্রেন। উল্লেখ্য অন্ধ্রপ্রদেশের ঘটনার নেপথ্যে রেল কর্মীর গাফিলতির কথা বলা হচ্ছে। রেলের ট্রেনের চালক রেল সিগন্যাল মিস করে এগিয়ে গিয়েছেন, এমনই বলা হচ্ছে। তবে উত্তরপ্রদেশে সুহেলদেব সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের দুর্ঘট🐲নার নেপথ্যে কী রয়েছে, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় আপাতত উদ্ধার ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগ চলেছে।
জানা গিয়েছে, প্রয়াগরাজ আউটারে ওই ট্রেনটি লাইন থেকে ছিটকে যায়। রেল সূত্রের খবর, রেলের দুটি বগি লাইন থেকে ছিটকে যায়। তবে, ঘটনাক কিছু ঘণ্টা পর ফের ট্রেনটি রওনা হওয়ার জন্য উদ্যোগ নেয়। উত্তর ও মধ্য রেলওয়েলের পিআরও জানিয়েছেন যে, এই রেল দুর্ঘটনার কারণ, খুব শিগগিরিই খোঁজ করা হবে। উল্লেখ্য, সদ্য অন্ধ্রপ্রদেশে দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সংঘর্ষের ফলে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তারফলে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ওড়িশার বালাসোরে রেল দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। হ💎াজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন। তারপরও দেশের উন্নততর রেল প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও কেন রেলে ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন বার বার থেকেই যাচ্ছে।