ভারতে খোঁজ মিলেছিল করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট B.1.617। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৪৪টি দেশে মিলেছে এই করোনা ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ। এই ভ্যারিয়েন্টটি আগের সব ভ্যারিয়েন্ট থেকে বেশি সংক্রামক বলে দাবি করা হয়েছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট রোধক টিকার বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা জন্মায়নি বলে মেনে নিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরও দাবি, ভারতীয় B.1.617 ভ্যারিয়েন্টের আরও ভয়ঙ্কর মিউটেশন হচ্ছে। তবে কোন টিকা প্রয়োগে এই ভ্যারিয়েন্টকে রোখা সম্ভব, তা এখনও পরীক্ষিত নয়।এদিকে করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝেই করোনা টিকা নিতে উঠে পড়ে লেগেছে দেশবাসী। তবে টিকা নিয়েও অনেকেই প্রাণ হারাচ্ছে। যা নিয়ে ধন্দে বহু মানুষ। এই আবহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, করোনার এই যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে, তার উপর করোনার ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী হবে, সেই বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি৷ শুধু টিকা নয় ওষুধ ও চিকিৎসার অন্য বিষয়গুলির এই ভ্যারিয়্যান্টের উপর প্রভাব নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷উল্লেখ্য, B.1.617 ভ্যারিয়্যান্টটির সন্ধান গত বছর অক্টোবরে মিলেছিল৷ এরপর তা ভারত থেকে ৪৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, এই ভ্যারিয়্যান্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে৷ আর অ্যান্টিবডির ক্ষমতায় কমিয়ে দিচ্ছে ৷ তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টকে অনেক বেশি ক্ষতকারক বলে মনে করছে ৷বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আপডেটে উল্লেখ করা হয়েছে, B.1.617 ভ্যারিয়্যান্টের দু'বার মিউটেশন হয়৷ এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে তৈরি হয়েছে B.1.617.1 এবং B.1.617.2 ভ্যারিয়্যান্ট দু'টি৷ এই মিউটেশনগুলি করোনা টিকাগুলি রুখতে পারে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে একমত নয় বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা৷ তাদের দাবি, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টের উপরও কার্যকরী তাদের ভ্যাকসিন৷