মঙ্গলবার রীতিমতো হাঙ্গামা হয়েছিল রাজ্যসভায়। সেই ঘটনার নিন্দা করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। তাঁর আক্ষেপ, একটি বিষয় নিয়ে ভিন্নমতের জেরে যে ঘটনাবলীর সাক্ষী থাকতে হচ্ছে, তাতে সংসদের মর্যাদা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বুধবার অধিবেশনের শুরুতেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) যেভাবে (সংসদের) পবিত্রতা ধ্বংস করা হয়েছে, তাতে আমি দুঃখিত। যেভাবে কয়েকজন সদস্য টেবিলে বসে পড়েছিলেন, কয়েকজন টেবিলে উঠে পড়েছিলেন, তা অপবিত্রতার কাজ। এই কাজের নিন্দা করার কোনও ভাষা নেই আমার। আমি বিনিদ্র রাত কাটিয়েছি।’ সংসদের উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যানের সেই মন্তব্যের মধ্যেই অবশ্য স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধী নেতারা। তার জেরে বেলা ১২ টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন।এবার বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তাল হয়ে আছে রাজ্যসভা। ব্যতিক্রম হয়নি মঙ্গলবারও। নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিরোধী সদস্যরা আধিকারিকদের টেবিলে উঠে পড়েন। দেখানো হয় কালো পতাকা। ছোড়া হয় ফাইল। যেখানে সংসদের আধিকারিকরা বসেন, সেই টেবিলে উঠে যান কয়েকজন সাংসদ। কেউ কেউ সেই চেয়ার-টেবিল ঘিরে সরকার-বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় ঘণ্টাদেড়েক সেই হাঙ্গামা। পরে আলোচনার ঘোষণা করা হয়, তখন নয়া তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন কংগ্রেস এবং তৃণমূল সাংসদরা। রাজ্যসভার ভাইস-চেয়াারম্যান ভুবনেশ্বর কলিতা আলোচনার কথা বলার পর আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং টেবিলে উঠে পড়েন। দিতে থাকেন স্লোগান। তাঁকে টেবিল থেকে নামান মার্শালরা। তারপর কংগ্রেসের প্রতাপ সিং রাজওয়া টেবিলে উঠে পড়েন। ‘চেয়ার’ লক্ষ্য করে ছোড়েন ফাইল। কংগ্রেসের রিপুন বোরাকেও কিছুক্ষণের জন্য টেবিলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই ঘটনা নিয়ে বুধবার নাইডু বলেন, ‘গতকাল কোন প্ররোচনা বা কারণে এই পবিত্র কক্ষ কেন এত নীচে নেমে গিয়েছিল, গতরাতে সেই কারণ বের করে উঠতে পারিনি। কৃষি সংক্রান্ত সমস্যা আলোচনার তালিকায় ছিল। যদি মতের পার্থক্য থাকে, তাহলে তাঁরা আলোচনা করতে পারেন। প্রতিবাদ করতে পারবেন। এটার বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারতেন।’