উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচের মাহসি অঞ্চলের ত্রাস শেষ নেকড়েটিকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন গ্রামবাসীরা। গত কয়েক মাস ধরে এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বেড়াচ্ছিল ৬ টি নেকড়ের একটি দল। এই নেকড়ের দলের হানায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে কার্যত আতঙ্ক গ্রাস করেছিল এই এলাকায়। তারপরে রাজ্যের বন বিভাগের তরফে এই দলের পাঁচটি নেকড়🌊েকে ধরা হয়েছিল। তব🎉ে আরও একটি নেকড়েকে খাঁচাবন্দি করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত সেই নেকড়েকে পিটিয়ে মারলেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: 'ঘাড়ের উপর লাফিয়ে পড়ল,' লোকালয়ে ঘুরছে হি♕ংস্র নেকড়ে, ড্রোন দিয়ে 🔯শুরু তল্লাশি
জানা গিয়েছে, শনিবার তামাচপুর গ্রামে ছাগল শিকার করতে গিয়ে নেকড়েটি ধরা পড💞়ে যায়। এরপরেই ক্ষুব্ধ জনতা বনদফতরকে খবর না দিয়ে নিজেরাই প্রাণীটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। পরে বন বিভাগের কর্মীরা খবর পেয়ে গ্রামে এসে নেকড়েটির মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বন বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, এখন নিয়ম অনুযায়ী নেকড়ের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। তারপরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বন বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘অনেক দিন ধরে বি♑ভাগের দল এই শেষ নেকড়েটিকে ধরার চেষ্টা করছিল। যখন আমরা খবর পাই যে একটি গ্রামে পশুর মৃতদেহ পড়ে আছে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দল নিয়ে সেখানে গিয়ে দেখি সেটি একটি মৃত নেকড়ে।’ তিনি জানান প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে নেকড়েটিকে পিট♏িয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে ৬টি নেকড়ের এই দলটি উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলার মাহসি অঞ্চলের অনেক গ্রামে তাণ্ডব চালাচ্ছিল। তাতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৪০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিল। এর আগে উত্তরপ্রদেশের বন বিভাগ বাহরাইচ বন বিভাগের বাহরাইচ রেঞ্জের মাহসি অঞ্চলে ২০ থেকে ৩০ টি গ্রামে হামলার জন্য দায়ী নেকড়েদের দলকে ধরতে ‘অপারে꧟শন ভেড়িয়া’ অভিযান চালু করেছিল। গত ১০ সেপ্টেম্বর পঞ্চম নেকড়েটিকে ধরে ফেলে বন বিভাগ।
শেষ নেকড়েটিকে ধরার জন্য বাহরাইচের বন বিভাগ এই🌳 এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা বসিয়েছিল। সিকান্দারপুর গ্রামে ৬ টি বড় গর্তের চারপাশে তিনটি ক্যামেরা লাগিয়েছিল। গ্রামবাসীরা দাবি করেছিলেন এই গুলিতে নেকড়েদের দল থাকছিল। নেকড়ে ধরার জন্য বিভিন𝕴্ন জায়গায় খাঁচা পাতা হয়েছিল। ড্রোন উড়িয়ে নেকড়ের দলের সন্ধান চালায় বন বিভাগ। নেকড়ের সন্ধানে ২২টি দল গড়ে উত্তরপ্রদেশ বন দফতর। বনকর্মীদের পাশাপাশি সেই দলে ছিলেন দক্ষ শিকারি এবং বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞেরা। তাদের কাছে ছিল ড্রোন, নাইট ভিশনস ক্যামেরা সহ আধুনিক সরঞ্জাম।