ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি। প্রায় দেড়শো বছর পর আবারও ভয়াবহ অগ্নুৎপাত দেখা গেল ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট রুয়াং আগ্নেয়গিরিতে। সেখানে বিস্ফোর🍸ণের ফলে লাভা স্রোত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সংলগ্ন এলাকায়। বুধবার ৪ বার বিস্ফোরণ হয় আগ্নেয়গিরিতে। এরপর বৃহস্পতিবার আরও ৫ বার বিস্ফোরণ ঘটে। প্রচণ্ড বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছে বহু দূর থেকে। প্রায় ১৯ কিলোমিটার উঁচু পর্যন্ত উঠে গিয়েছে আগ্নেয়গিরির থেকে নির্গত কালো ছাই। উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশে অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাতের বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি যে দেশটিতে সুনামির সর্তকতা জারি করেছে প্রশাসন। তারপরেই সংলগ্ন এলাকার ১১০০০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে সরানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন𒆙্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত, মৃত ১১, নিখোঁজ ১২
আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাতের ফলে কাছাকাছি অবস্থিত বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সুলাওয়েসি দ্বীপের মানাডো শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।তাগুলানডাং দ꧙্বীপে♔ প্রায় ২০,০০০ লোক বাস করে। তবে, অগ্নুৎপাতের ফলে আগ্নেয়গিরির নিকটবর্তী এলাকা থেকে ১১,০০০ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আধিকারিকরা জানান, অগ্নুৎপাতের পরেই কিছু বাসিন্দা আতঙ্কে পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু, আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণের ফলে ছোট পাথর অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে♒ ছিটিয়ে পড়ে। সেই কারণে তাঁদের উদ্ধারকার্যে নেমে পড়ে উদ্ধারকারী দল। নৌকার সাহায্যে আগ্নেয়গিরির কাছে উপকূলবর্তী বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। এদিকে, অগ্নুৎপাতের কারণে পর্যটক এবং বাসিন্দাদের ৬ কিলোমিটার দূরে থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে অগ্নুৎপাত শুরু হয় মাউন্ট রিয়াংয়ে। তারপর𝔉েই ৮০০ জনকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বুধবার ৪ বার বিস্ফোরণ ঘটে।গতকাল আরও ৫ বার বিস্ফোরণ ঘটে । এই অবস্থায় সুনামির সতর্কতা জারি ক🍒রেছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালে জাভা এবং সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জের মাঝখানে অবস্থিত মাউন্ট আনাক ক্রাকাতোয়ায় ভয়াবহ অগ্নুৎপাত হয়েছিল। যার ফলে আগ্নেয়গিরি🍬র একটি বিশাল 🧜অংশ সমুদ্রের তলদেশে ডুবে যায়। এরফলে ভয়াবহ সুনামি হয়েছিল। তাতে মৃত্যু হয়েছিল ৪০০ জনেরও বেশি মানুষের। এছাড়াও, হাজার হাজার আহত হয়েছিলেন।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মাউন্ট রুয়াং আগ্নেয়গিরিতে ১৮৭১ সালে এরকমই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই সময🌠় অগ্নুৎপাতের ফলে ভয়ঙ্কর সুনামি হয়েছিল। তবে বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ, এদিনের বিস্ফোরণের ফলে আগ্নেয়গিরিটি সমুদ্রে তলিয়ে যেতে পারে।