শেষ পর্যন্ত হরিদ্বার ধর্ম সংসদে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার প্রেক্ষিতে তৎপরতা দেখাল উত্তরাখণ্ড পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের বেদ নিকেতন ধামে ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হয়েছিল। ধর্ম সংসদে প্ররোচণামূলক বক্তব্য পেশ করে হিংসার ডাক দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন উপস্থিত সাধুরা। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র ত্যাগী। এই প্ররোচণামূলক বক্তব্য পেশের ঘটনায় এফাইআর হলে তাতে সর্বপ্রথম নাম ছিল ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র ত্যাগীর। সেই জিতেন্দ্র ত্যাগীকেই এবার গ্রেফতার করল পুলিশ। এদিকে এফআইআর-এ যতি নরসিংহনন্দ ও সাগর সিন্ধু মহারাজের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। অভিযোগে নাম রয়েছে ধর্মদাস মহারাজ, সন্ন্যাসিনী অন্নপূর্ণার নামও। যদিও তাঁদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হলেন যতি নরসিংহনন্দ। সংখ্যালঘু বিরোধী হিসেবে পরিচিত নরসিংহানন্দ এমনিতেই বিতর্কিত এক ব্যক্তিত্ব। প্রথম থেকেই এই মামলায় তাঁর নাম যুক্ত করার দাবি উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকে। পরে অভিযোগে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলেও নরসিংহানন্দকে গ্রেফতার করা হয়নি।একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণাসূচক বক্তব্য পেশ করার এই ঘটনায় নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল বিভিন্ন মহলেই। ধর্ম সংসদের নামে হিংসা ছড়ানোর প্ররোচণা দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশের প্রধান বিচারপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন প্রাক্তন সামরিক কর্তারা। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক ব্যক্তির নামে এফআইআর দাযের করলেও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ ছিল। এই আবহে দুই দিন আগেই উত্তরাখণ্ড সরকারকে নোটিশ জারি করেছিল শীর্ষ আদালত। আর সেই নোটিস জারি হতেই এবার তত্পরতা দেখা গেল পুলিশের মধ্যে।