বাঘের কবল𒉰 থেকে কে কবে এভাবে রক্ষা পয়েছেন! হালে এমনই এক অভাবনীয় এবং বিরল ঘঠনা ঘটেছে এক ব্যক্তির স𒁃ঙ্গে। আর সেটির ভিডিয়োও রেকর্ড হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। যা দেখে শিউড়ে উঠেছেন অনেকেই। আর অনেকেরই মত, ইনিই হয়তো পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ।
কী ঘটেছে ঘটনাটি? সারা ভারতেই এখন তাপমাত্রা নিম্নমুখ🐎ী। আর সেখানে উত্তর ভারতের তো ক🌃থাই নেই। ঠান্ডা বেশ জাঁকিয়ে পড়েছে। উত্তরাখন্ডের পাহাড়ে সেই ঠান্ডা মারাত্মক হয়ে উঠেছে। এমনই এক ভোরবেলার ঘটনা। পাহাড়ের রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। আর সেখানেই হাজির— খোদ দক্ষিণ রায়!
উত্তর ভারতের এই এলাকা এক সময়ে বাঘের জন্য ছিল কুখ্যাত। বিখ্যাত ব্যাঘ্রশিকারি এবং পরিবেশ সংরক্ষণবিদ জিম করবেট দীর্ঘ দিন এই এলাকায় সাধারণ মানুষের রক্ষায় ব্যাঘ্রশিকার করেছেন। অনেকে যদিও ভাবেন, তিনি বাঘ মারতেই আনন্দ পেতেন, যদিও ব📖িষয়টি মোটেই তা নয়। বরং বাঘকে বাঁচানো, অনান্য জীবজন্তুকে বাঁচানো, পরিবেশের সংরক্ষণে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। কিন্তু কোনও বাঘ চোট পেয়ে বা বয়সের কারণে মানুষখেকো হয়ে উঠলে, তাদের শিকার করাটাও ছিল তাঁর দায়িত্বের মধ্যে। আর সেই কারণেই বার বার বড় ঝুঁকি নেন তিনি। এহেন করবেট সাহেবের সম্মানার্থেই এই এলাকার ন্যাশনাল পার্কটিকে পরবর্তীকালে করবেট ন্যাশনাল পার্ক নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই এলাকা আজও বাঘের জন্য বিখ্যাত। তবে এখন বাঘের আক্রমণে প্রাণ যাওয়ার মতো ঘটনা কমে এসেছে। যদিও হালের এই ভিডিয়োটি সকলকে অবাক করে দিয়েছে।
কী ঘটেছে এখানে? যে কথা দিয়ে শুরু হয়েছিল। স্থানীয় এক ব্যক্তি শীতের সকালে হেঁটে যাচ্ছিলেন পাহাড়ের রাস্তায়। আর সেখানেই ঝোপের মধ্যে থেকে হাজির হয় বাঘ। কিন্তু বরাত জোরেই হোক বা অন্য কোনও কারণেই হোক, বাঘ ওই ব্যক্তির দিকে ফিরে🐻ও তাকায় না। লাফ দিয়ে চলে যায় সামনে থেকে। ভীত ব্যক্তি এর পরে ছুটে গিয়ে পাশের একটি দোকানের লোকজনকে জানান। তাঁরাও বেরিয়ে আসেন। দৌড়ে গিয়ে দেখতে যান বাঘটিকে। কিন্তু ততক্ষণে সে জঙ্গলে ঢুকে গিয়েছে।
এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিডিয়োটি। অনেকেরই মত, এই ব্যক্তি পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান। নাহলে সামনে পেয়েও বাঘ এভাবে মুখ ফিরিয়ে চলে যেতে পারে! তবে এই ঘটনার সূত্রে অনেকেই নানা কারণ দেখিয়েছেন। কেউ বলেছেন, এই বাঘটির মাপ দেখে মনে হয়েছে সে নিতান্তই শিশু। এবং সে জঙ্গলেই শিকার ধরতে সক্ষম। ফলে মানুষকে ঘাঁটানোর কোনও ইচ্ছা তার নেই। কেউ আবা𝕴র বলেছেন, যেহেতু হাওয়া বিপরীত দিক থেকে বইছিল, ফলে বাঘটি টের পায়নি সামনেই মানুষ আছে। সেও যারপরনাই ভয় পেয়ে যায় ওই লোকটিকে দেখে। ফলে সে নিজেও⛦ হতভম্ব হয়ে চম্পট দেয়।