জলই জীবন। জল সংরক্ষণ নিয়ে গোটা বিশ্বজুড়েই নানা উদ্যোগ।বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, গোটা বিশ্বে যখন জলের ভয়াবহ সংকট তখনই জল-জান-অভিযানের সূচনা করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন ভারতের মতো দেশে জনসংখ্যা অত্যাধিক থাকায় এখানে জলের সমস্যাটা আরও বেশি।ব্রহ্মকুমারীর জল-জান-অভিযান প্রসঙ্গে ভিডিয়ো মেসেজে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভবিষ্য়তের কথা মাথায় রেখে অমৃতকালে ভারত জলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। যদি জল থাকে তবেই আগামীকালও থাকবে।তিনি জানিয়েছেন, জল সংরক্ষণের বিষয়টি কার্যত গণ আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। ব্রহ্মকুমারীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি। জল সংরক্ষণের এই প্রচারকেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাচীন মুনি, ঋষিরা একটি ভারসাম্যমূলক, সংবেদনশীল প্রাকৃতিক সিস্টেম তৈরি করেছিলেন। প্রায় হাজার বছর আগে এই সিস্টেম চালু হয়েছিল। জল সংরক্ষণ আমাদের সমাজের একটি সংস্কৃতি। আমাদের সামাজিক ভাবনার ভরকেন্দ্রে রয়েছে ওই জল সংরক্ষণ। সেকারণেই জলকে আমরা ঈশ্বর বলে মানি। নদীকে মা হিসাবে গণ্য় করা হয়।বৃষ্টির জল ধরো প্রকল্পের ব্যাপারে মোদী বলেন, ভৌম জলের স্তর ক্রমেই নেমে যাচ্ছে। এটা আমাদের দেশের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ। অটল ভূজল যোজনার মাধ্যমে হাজার হাজার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই ধরনের জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।তিনি জানিয়েছেন ভারতের মহিলারা এই প্রকল্পগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মুখ্য় ভূমিকা নিচেছেন। জল কমিটির মাধ্যমে জলজীবন মিশন রূপায়ণে উল্লেখযোগ্য় ভূমিকা নিচ্ছেন নারীরা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি দেশের অন্দরেও ব্রহ্ম কুমারীরা বড় ভূমিকা পালন করছেন। পরিবেশ রক্ষার পাশপাশি জল সংরক্ষণের নানা দিকও তিনি তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষিক্ষেত্রে যাতে জলের সুষ্ঠু ব্যবহার হয় সেই নিরিখে ড্রিপ ইরিগেশনের মতো ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকী তিনি ব্রহ্ম কুমারীদের অনুরোধ করেন, দেশের কৃষকদেরও আপনারা এনিয়ে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। জল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্রহ্মকুমারীদের প্রশংসা করেন মোদী। পাশাপাশি দেশের নারীদের ভূমিকাকেও কুর্নিশ করেন মোদী।