ওয়াটার পার্কে বেড়াতে এসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন যুবক। পুলিশি তদন্তে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য। দিল্লি সংলগ্ন নয়ডার সেক্টর-৩৮এ সেক্টর-৩৯ থানার এলাকায় অবস্থিত জিআইপি মলের ওয়াটার পার্কে রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছ। সন্দেহজনক অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। এ প্রসꦯঙ্গে অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (জোন ১) মনীশ কুমার মিশ্র বলেছেন যে দিল্লির আদর্শ নগরের বাসিন্দা, ২৫ বছর বয়সী ধনঞ্জয় মহেশ্বরী তাঁর বন্ধু আনশুল গুপ্ত, রাঘব গুপ্ত, সাগর গুপ্ত এবং পীযূষ লাম্বার সঙ্গে এই পার্কে এসেছিল।
ধনঞ্জয় কীভাবে মারা গিয়েছে
দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ওয়াটার পার্কে পৌঁছে পোশাক ও লকার সংগ্রহ করে ধনঞ্জয় ও তার সঙ্গীরা সোজা চলে গিয়েছিল স্লাইডিংয়ে। 'স্লাইডিং' করার পর ধনঞ্জয় নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, এরপর সেখানকা🐬র ব্যবস্༒থাপনা তাকে কাছের একটি হাসপাতালে ভর্তি করলেও ততক্ষণে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নয়ডার এডিসিপি মনীশ মিশ্র বলেছেন যে ধনজয় তারꦦ চার বন্ধুদের বলেছিল যে একটি ওয়াটার পার্ক রাইড শেষ করার পরে খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এরপর তার বন্ধুরা তাকে কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম নিতে বলেছিল। তবে ১০ - ১৫ মিনিট বিশ্রামের পরেও ধনজয়ের আর ভালো লাগছিল না। এরপর তাঁকে জিআইপি মল কর্তৃপক্ষের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিকটস্থ কৈলাস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে ধনঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যরাও নয়ডার হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন। এরপর, সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছিলেন, ধনঞ্জয়ের পায়ে ও কোমরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় মল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিরও অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। এ বিষয়ে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, সব দিক বিবেচনায় রেখেই বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
রবিবার দুপুরে যখন এ ঘটনা ঘটে, সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনার পর সেখানে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল এবং অনেকেই ওয়াটার পার্ক থেকে ফিরে গিয়েছিলেন। একই সময়ে, নয়ডা কমিশনারেটের মিডিয়া সেলের মতে, ধনঞ্জয় মহেশ্বরী ডুবে মারা যায়নি। পরিবারে✨র সদস্যদের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত নামা পূরণ করে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, আমরা আইনি প্রক্রিয়া শুরু 🔯করেছি, এবং মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, তারপরে কারণ নিশ্চিত করা যাবে।