পশ্চিমবঙ্গে সিবিআই তদন্তের ‘জেনারেল কনসেন্ট’ প্রত্যাহার করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অবশ্য তাপরও রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই রাজ্যে একাধিক মামলার তদন্তে নেমে এফআইআর করেছে সিবিআই। এই আবহে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য সরকার। সেই মামলা গ্রহণ না করার পালটা দাবি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কেন্দ্রের সেই দাবি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্র যে সিবিআইয়ের অপব্যবহার করছে, তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এই আবহে রাজনৈতিক ভাবে কেন্দ্রকে এই নিয়ে তোপ দেগেছে রাজ্যের শাসকদল। এদিকে বিজেপি পালটা বলছে, মামলার রায় আগে দেওয়া হোক, তারপর দেখা যাবে কে জিতেছে। (আরও পড়ুন: বিক🅠্রি বন্ধের দাবি করলেও দোকানে দিব্যি বিকোচ্ছে পতঞ্জলির ১৪ 'নিষ🧸িদ্ধ' পণ্য)
আরও পড়ুন: 'NEET প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি', এত কিছুর পর আদালতে দাবি NTA-র, দোহাই ভꦿাইরাল ভিডিয়োর
আরও পড়ুন: জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকা উচিত, গৃহব🅷ধূকে দিতে হবে ATM কার্ডও, বড় পর্যবেক্ষণ SC-র
উল্লেখ্য, এফআইআর দায়ের করতে গেলে রাজ্যের অনুমতির প্রয়োজন পড়ে সিবিআই-এর। তবে রাজ্য সরকার দাবি করছে, তাদের কোনও অনুমতি ছাড়াই পরপর মামলায় এফআইআর করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই আবহে কেন্দ্রের শাসকদল সিবিআই-এর অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ রাজ্যের। এই আবহে রাজ্য সরকারের যুক্তিকে মান্যতা দিয়ে এই মামলা গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৩ অগস্ট। (আরও পড়ুন: হবে বড় ঘোষণা, ড꧅িএ-র দাবি না মানলেও নয়া ▨ছকে কর্মীদের মন খুশি করার ছক সরকারের)
আরও পড়ুন: শুধু বক𒀰েয়া ডিএ-তে সন্তোষ নয়, সরকারের ওপর সাঁড়াশি চাপ বাড়ালেন সরকারি কর্মীরা
এদিকে এই মামলায় তৃণমূল নিজেদের 'জয়' দেখলেও কয়েকদিন আগেই শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেয়েছিল তারা। রেশন দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্দেশখালিতে যৌন হেনস্থার মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে রাজ্য সরকারের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। (আরও পড়ুন: বেড়েছে ডিএ,💯 সঙ্গে ১২০ কোটি খরচ করে কয়েক লাখ টাকার 'বোনাস' ঘোষণা এই রাজ্যের)
আরও পড়ুন: ডিএ-বেতনের দাবিতে অনড় সরকারি কর্মী♊রা, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সাজানো হল 'চক্রব্যূহ'
সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যের যুক্তি ছিল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাজ্যের অধীনস্থ বিষয়। সেখানে হাই কোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ রাজ্যের ক্ষমতাকে খর্ব করে। এদিকে রেশন মামলা নিয়ে রাজ্যের দাবি ছিল, পুলিশ নাকি বিগত চার বছর ধরে রেশন দুর্নীতির তদন্ত করছে, তাই সেই তদন✃্তের ভার রাজ্য পুলিশের হাতেই দেওয়া হক। এদিকে রেশন দুর্নীতি মামলায় তদন্তের সময়ই সন্দেশখালির ঘটনা সামনে আসে। সেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি দাবি করেন, এই ঘটনায় পুলিশে যে ৪৩টি এফআইআর হয়েছে, তার মধ্যে ৪২টিতেই চ𒉰ার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এদিকে সিংভি আরও দাবি করেন, সন্দেশখালির ঘটনায় যে তিল কে তাল করা হয়েছিল, তার প্রমাণ স্বরূপ একাধি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনা রাজ্য সরকারের নাম খারাপ করার জন্যে সাজানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন সিংভি। তবে রাজ্য সরকারের এই সব যুক্তিই খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।