আগামী ২৩ জানুয়ারি রাজ্যের বকেয়া নিয়ে আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বৈঠকে ডাকা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলার যে যে দফতরের টাকা বাকি আছে, সেই সব দফতরের সচিবদের সেই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে রিপোর্ট থেকে। বাংলার মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকার কাছে এই মর্মে চিঠি এসে পৌঁছেছে কেন্দ্রের। এই আবহে রামন্দির উদ্বোধনের পরদিনই বাংলার বকেয়া জট ছাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত মাসে দিল্লিতে গিয়ে বকেয়া প্রসঙ্গে মোদীর সঙ্গে বৈঠক করে এসেছিলেন মমতা। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফ থেকে বকেয়া ইস্যুতে বৈঠক ডাকার বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: ফের আমরণ অনশন, ডিএ-র দাবিতে ২৯ থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের༺ হুঁশিয়ারি মঞ্চ꧃ের)
আরও পড়ুন: 'মমতার অনুপ্রেরণায়' কলকাতা পুরসভꦯার নাম বদলের দাবি কাউন্সিলরের, কী বললেন ফিরহাদ?
দানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাবদ সবচেয়🥂ে বেশি টাকা আটকে আছে রাজ্যের। এই প্রকল্পের প্রায় আট হাজার কোটি টাকা বাংলার পাওনা বলে জানা গিয়েছে। এদিকে একশো দিনের কাজে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা আটকে আছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনাতে প্রকল্পেরও বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বৈঠকে রাজ্যের পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্য দফতর এবং নগরোন্নয়ন-সহ আরও বেশ কয়েকটি দফতরের সচিব উপস্থিত থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন: একদিকে চাষীদের আর্থিক স🦩হায়তা, অন্যদিকে কৃষকদের ওপর কর বসানোর ভাবনা!
প্রসঙ্গত, গতবছর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য দিল্লিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে মন্ত্রীর দফতরে ধরনাতেও বসেছিলেন তৃণমূলের নেতারা। বাংলার রাজনীতিতে 'বকেয়া টাকা' ইস্যুকে কাজে লাগিয়েꦏ লোকসভা ভোটে ফায়দা তুলতে চাইছে তৃণমূল। এই আবহে দিল্লি গিয়ে মোদীর সঙ্গেও দেখা করে এসেছেন মমতা। তাঁর সঙ্গে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক সহ তৃণমূলের আরও তাবড় নেতারা। সেই বৈঠকের আগেও মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'বাংলার প্রাপ্য টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আবাস যোজনা, গ্রামের রাস্তা, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্য থেকে জিএসটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কিন্তু রাজ্যের ভাগ দেওয়া হচ্ছে না। ওদের টাকা চাই না, অন্তত আমাদের ভাগের টাকা দিয়ে দিন।' এরপর দিল্লিতে মোদী-মমতার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তাব দিয়েছিল, বকেয়া জট কাটানোর জন্য কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ কমিটি তৈরি করা হোক। মনে করা হচ্ছে, সেই প্রস্তাবের বাস্তবায়ন ঘটাতেই দিল্লিতে মঙ্গলবার বৈঠক ডাকা হয়েছে।