পাকিস্তানে বাড়ি থেকে বেরোতে হলে বোরখা পরে বেরোতে হত। পড়াশোনার কোনও সুযোগ ছিল না। দুর্বিষহ ছিল জীবন। কিন্তু ভারতে আসার পর জীবন পালটেছে। এখন পড়াশোনা করছেন। নির্দ্বিধায় বাড়ি থেকে বেরোতে পারেন। টিউশন ক্লাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) আওতায় ১৪ জনকে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়ে এমনই দাবি করলেন এক তরুণী। তিনি বলেছেন, 'আমরা আ𒈔জ যে নাগরিকত্ব পেয়েছি, সেটার জন্য দারুণ লাগছে। আমরা এখন পড়াশোনা করছি, সেটার জন্য দারুণ লাগছে। আমরা (জীবনে) এগিয়ে যাব। আজ খুব ভালো লাগছে।'
ভাবনা নামে ওই তরুণী জানান, ২০১৪ সালে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসেন। পরবর্তীতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের আওতায় ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য 𒅌আবেদন করেন। আর শেষপর্যন্ত বুধবার সরকারিভাবে ভারতীয় হওয়ার পরে তিনি বলেন, 'পাকিস্তানে মারাত্মক সমস্যার মুখে পড়তে হত আমাদের। আমরা মেয়েরা ওখানে পড়াশোনা করতে পারতাম না। বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারতাম না। বাড়ি থেকে বেরোলেও বোরখা পরে বেরোতে হত। মুসলিমদের মতো (বেরোতাম)। ভারতে এসে খুব ভালো লাগছে। আমরা এখন পড়াশোনা করছি। আমি এখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ি। টিউশন পড়তে যাই।'
তবে শুধু ওই তরুণীকে একা নয়, বুধবার নয়াদিল্লিতে আরও ১৩꧃ জনকে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের হাতে ডিজিটালি স্বাক্ষরিত শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। তারইমধ্যে সংবাদসংস্থা এএনআইকে শাহ বলেছেন, ‘আজই বলে যাচ্ছি যে দিল্লিত🌟ে প্রথম ৩০০ জনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
সেইসঙ্গে সিএএয়ের বিরোধিতা করার♍ জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়েছেন শাহ। তিনি বলেছেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) দেশের আইন। আর সেই আইনকে এভাবে ঝেড়ে ফেলা যাবে না। যে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, ✤খ্রিস্টানরা শরণার্থী হিসেবে ২০১৪ সালের আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের অধিকার আছে। নথি থাকুক বা না থাকুক, তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ন🐎াগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করা হয়েছিল। যা নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। পরবর্তীতে সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও নাগরিকত্ব স🌜ংশোধনী আইনের নিয়ম জারি করতে তিন বছর লাগিয়ে ফেলে কেন্দ্র। শেষপর্যন্ত চলতি বছরের ১১ মার্চ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গত দু'মাস ধরে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অনেকে আবেদন করেছেন।