প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গ থেকে করোনা পজিটিভ রোগী ঢোকার ফলে নতুন হটস্পট হয়ে উঠেছে উত্তর ওডিশা। বুধবার এই দাবি করেছে ওডিশা সরকার।ওডিশা প্রশাসনের তরফে এ দিন জানানো হয়েছে, সম্প্রতি বাংলা থেকে ফেরা নতুন ১০ জন করোনা পজিটিভ রোগীর খবর পাওয়া গিয়েছে ভদ্রক ও যাজপুর থেকে। জানানো হয়েছে, সম্প্রতি বাংলা থেকে ফেরা ৮৩ জনের মধ্যে নতুন ১০ জন করোনা পজিটিভ রোগীর খবর পাওয়া গিয়েছে ভদ্রক ও যাজপুর থেকে। এই ৮৩ জনের মধ্যে ২৮ জন পশ্চিমবঙ্গ থেকে ফিরেছেন। এঁরা সকলেই অ্যাম্বুল্যান্স, মাছবাহী ট্রাক ও অন্যান্য ভাড়া করা যানে বাংলা থেকে ওডিশায় ঢুকেছেন বলে জানা গিয়েছে।সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে গত দুই মাসে ২,৭০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি ওডিশার বিভিন্ন প্রান্তে ফিরেছেন। তাঁদের অর্ধেক পরিমাণ ওডিশায় প্রবেশ করেছেন মার্চ মাসের ২৮ ও ২৯ তারিখে।উত্তর ওডিশা ঘুরে এসে ওই সমস্ত ব্যক্তিকে তাঁদের নাম, ঠিকানা ও সফর ইতিহাস-সহ খুঁটিনাটি তথ্য নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আরডিসি (কেন্দ্র) অনিল সামাল। তিনি বলেন, ‘ঘরে ফেরা প্রত্যেক ব্যক্তির নাম-পরিচয় বিশদে জানার পরে তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য প্রতিটি পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে ওই সমস্ত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।’নতুন বিপত্তির জেরে পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন ময়ূরভঞ্জ ও বালেশ্বর জেলায় বাংলার সঙ্গে সব সড়ক সংযোগে কড়া নজরদারি বসানো হয়েছে। কোনও রাজ্য থেকেই যাতে পাশের রাজ্যে অনুপ্রবেশ না ঘটে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি চালু হয়েছে। পাশাপাশি, বাংলা ফেরৎ সমস্ত অধিবাসীকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ জারি করেছে ওডিশা প্রশাসন।পশ্চিমবঙ্গ থেকে করোনা পজিটিভ রোগী ঢুকে ওডিশায় বিপদ বাড়ানোর জেরে টুইটারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিজেপি মুখপাত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ বৈজয়ন্ত জয় পাণ্ডা। ওডিশা প্রশাসনের হিসেবে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়েসি দুই মহিলা রয়েছেন। তিন পুরুষ প্রবেশকারীর বয়স যথাক্রমে ৩৮, ২৬ ও ১২বছর। তাঁদের এক আত্মীয় এর আগে করোনা পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছেন।বালেশ্বর, ভদ্রক ও যাজপুর জেলায় সন্ধান পাওয়া ২৩ জন পজিটিভ রোগীর মধ্যে ১৭ জনের খবর মিলেছে এলাকা সিল করে দেওয়ার পরে।নতুন সংক্রমণের খবরে উদ্বিগ্ন তিন জেলা ঘুরে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা, জনস্বাস্থ্যপরিবার উন্নয়ন দফতরের অধিকর্তারা। জানা গিয়েছে, তিবন জেলাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ দল। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে যাজপুরের এসসিলবি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং ফকির মোহন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের।