কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্ত্রী-বিদ্বেষী এবং পুরুষতান্ত্রিক হওয়ার অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। উল্লেখ্য, সংসদে তিনি সম্প্রতি একটি প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছিলেন, কেন পদবি বদলাতে স্বামীর থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অথবা অনুমতি লাগে মহিলাদের? সেই প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্র যা বলেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাই তুলে ধরে মোদী সরকারকে তোপ দেগেছেন এই তৃণমূল সাংসদ। (আরও পড়ুন: বেতন ও ভাতা বৃদ্ধিꦚ করা হল বাংলার এই কর্মীদের, বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার)
আরও পড়ুন: উত্তেজিত যাতꦏ্রীদের রেল💦 অবরোধ, শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় থমকে লোকাল ট্রেন
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সাকেত গোখলে লেখেন, 'এটি মোদী সরকারের নির্লজ্জ স্ত্রী-বিদ্বেষ ও পুরুষতান্ত্রের সম্পূর্ণ নতুন এক চেহারা। আমি সংসদে সরকারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে কেন এমন একটি নিয়ম চালু করা হয়েছিল যাতে মহিলারা তাদের বিয়ের আগের পদবি ফিরিয়ে নিতে চাইলে 'স্বামীর কাছ থেকে এনওসি বা অনুমতি' নেওয়া বাধ্যতামূলক। এর পরিপ্রেক্ষিতে সর♋কারের যৌক্তিকতা? 'কোনও বিরোধের কারণে আপত্তি বা আইনি পরিণতি নিশ্চিত করার জন্য স্বমীকে অবহিত করার' উদ্দেশ্যে তারা এটি বাধ্যতামূলক করেছে। এই ব্যাখ্যা অর্থহীন। যখন নাম পরিবর্তন গেজেটে 'বিজ্ঞপ্তি' হিসেবে জারি করা হয়, তখন তা সেই চাকরিজীবী মহিলার স্বামীকেও জানানো হবে। কেন একজন মহিলার নিজের নাম পরিবর্তন করতে স্বামীর 'অনুমতি' প্রয়োজন তার কোনও স্পষ্ট উত্তর এই সরকারের কাছে নেই।'
আরও পড়ুন: ঈশ্বরে🦂র নিজের ভূমিতে প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা, কেরলের ধসে মৃত বেড়ে ১৪৩
এদিকে সরকারের লিখিজ জবাবের কপি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সাকেত। সেখানে লেখা, 'পাবলিকেশন ডিপার্টমেন্ট ২০১৪ সালে এই সংক্রান্ত গাইডলাইন বদল করেছিল। গেজেট নোটিফিকেশনে নাম বদলের মতো বিষয়ের প্রক্রিয়ার সরলীকরণের জন্যেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছিল। নাম বদলের অর্থ, একজনের পরিচয় বদলে যাওয়া। এই আবহে গেজেট নোটিফিকেশনের পবিত্রতা বজায় রাখতে এবং নাম বদলের গেজেট প্রকাশ করে কেউ যাতে তার অসৎ প্রয়োগ না করে, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এর মধ্যেও ন্যূনতম নথি জমা দেওয়ার মাধ্যমেই নাম বদলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। কোনও বিরোধের কারণে আপত্তি বা আইনি পরিণꦛতি নিশ্চিত করার জন্য স্বমী💮কে অবহিত করার উদ্দেশেই গেজেটে সংশ্লিষ্ট মহিলার পদবি বদলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে স্বামীর থেকে এই সংক্রান্ত এনওসি প্রয়োজন পড়ে।'