দক্ষিণ ইউরোপের তুরস্ক, গ্রিস, ইটালি, নর্থ মেসিডোনিয়া, আলবেনিয়া সহ বহু দেশেই দাবানল জ্বলছে। জানা গিয়েছে, জুলাইয়ের মতো অগস্টেও তাপপ্রবাহ চলবে। এই পরিস্থিতিতে তুরস্ক ও গ্রিসে দাবানল ভয়ংকর রূপ। দাবানলের গ্রাসে যায় দক্ষিণ-পশ্চিম তুরস্কে অবস্থিত মিলাসের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও। ১১ ঘণ্টা চেষ্টার পর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এই ঘটনার জেরে ইস্তানবুলে বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে তুরস্কে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রিসে কারও মৃত্যুর খবর নেই। তবে ধোঁয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে বহু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।গ্রিসে মোট ১৫৪টি দাবানল শুরু হয়। এখনও এগুলির মধ্যে ৬৪টি নেভানোর চেষ্টায় রয়েছে গ্রিস। বহু এলাকা থেকেই মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হেলিকপ্টার, বিমানও নিয়োগ করা হয়েছে। তবে তিনশ দমকল, ৩৫টি ফায়ার ট্রাক, দশটি বিমান আগুন নেভাতে পারছে না। উদ্ধার কাজে নেমেছে সেদেশের সেনা। এই পরিস্থিতির জেরে বর্তমানে গ্রিসের গড় তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। ১৯৮৭ সালের পর থেকে সেখানে এত গরম কখনো পড়েনি।এদিকে ইতালির সিসিলিতে প্রথম দাবানল শুরু হয়েছিল। এখন তা ইতালির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানেই দমকল এবং বিমানের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে আগুন আয়ত্ত্বে আনা যাচ্ছে না। দাবানলে পুড়ে যাচ্ছে পুরো বন। ধ্বংস হচ্ছে ঘরবাড়ি। হাজার হাজার মানুষ পালাচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। এদিকে তুরস্কের ৩০টি অঞ্চলে ১৩৭টি দাবানলের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১১টি বড় আগুন এখনও জ্বলছে। দাবানল কবে নেভানো সম্ভব হবে তা কর্মকর্তারা বলতে পারছেন না। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এরকম দাবানল তারা জীবনে দেখেননি।