দেওঘরে উদ্ধারকাজ চলাকালীন ফের মৃত্যু হয় এক পর্যটকের। আজ এক পর্যটককে রোপওয়ে থেকে নিচে নামানোর সময় দড়ি ছিঁড়ে বিপত্তি ঘটে। জানা গিয়েছে, সেই মহিলাকে সর্বশেষে উদ্ধার করতে উড়ে গিয়েছিল হেলিকপ্টার। উদ্ধারের সময় মহলি অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে গতকালও উদ্ধারকাজ চলাকালীন এক যুবক হেলিকপ্টার থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান। আজ ফের একই ঘটনা ঘটল দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে। এই নিয়ে দেওঘরে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু অন্তত তিনজনের। গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন পর্যটক। উল্লেখ্য, বিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দেওঘরের বাবা বৈদ্যনাথ মন্দিরের কাছে ত্রিকূট পাহাড়ে একাধিক রোপওয়ের ধাক্কা লাগে। এরপর প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন, বায়ুসেনা, আইটিবিপি, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ছাড়াও স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে অনেক সাহায্য করেছেন। ৭৬৬ মিটার দীর্ঘ রোপওয়েটিকে ভারতের উচ্চতম 'ভার্টিকাল রোপওয়ে' বলে দাবি করা হয় ঝাড়খণ্ড সরকারের পর্যটন দফতরের তরফে। তবে এটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এই দুর্ঘটনার জেরে। অভিযোগ, এক একটি কেবল কারে ৪ জন করে বসার কথা থাকলেও বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে ৬ থেকে ৭ জন করে এক একটি কেবলে উঠছিলেন। কোনও কোনও সময় ৮ জনও উঠছিলেন এক একটি কেবলে। উদ্ধারকাজ চলাকালীন হেলিকপ্টার থেকে পড়ে গিয়ে গতকাল এক যুবকের মৃত্যু হয়। আজকে সকালেও উদ্ধারকাজ চলাকালীন এক মহিলা হেলিকপ্টারের সঙ্গে যুক্ত দড়ি ছিঁড়ে নিচে পড়ে যান। কয়েকশো ফুট উচ্চতা থেকে মাটিতে পড়ে যান সেই মহিলা। স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তিনি হয়ত আর বেঁচে নেই। পরে প্রশাসনের তরফেও তাঁর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে