২০১৬ সালে শ্বেতা শর্মা আমেরিকা থেকে আসেন ভারতে। তার আগে তিনি স্বামীর সঙ্গে ছিলেন মার্কিন মুলুকে। সেই বছরই তাঁরা দেশে ফেরেন। শ্বেতার অভিযোগ, তিনি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের ফাঁদে পড়ে ১৩.৫ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের এক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। কীভাবে এই বিপুল অঙ্কের টাকার প্রতারণ💖া শ্বেতার সঙ্গে ঘটল? দেখে নেওয়া যাক, তাঁর অভিযোগটি।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার শ্বেতার অভিযোগ, আমেরিকায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি ১৩.৫ কোটি টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্টে। সেই পরিমাণ টাকা তিনি ফিক্সড ডিপোজিটে রাখতে চেয়েছিলেন। তিনি আশা করেছিলেন ব্যাঙ্কের যা সুদের হার তাতে আসন্ন দিনে সেই টাকা ১৬ কোটি হবে। শ্বেতার দাবি, এক বন্ধুর সূত্র ধরে ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। তখনই ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার শ্বেতাকে ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা রাখার জন্য পরামর্শ দেন। এমন অভিযোগ করে শ্বেতার দাবি, সেই সময় তিনি ফিক্সড ডিপোজিটে ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদের কথা বলেছিলেন। এদিকে, আমেরিকার ব্যাঙ্কে তখন ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার নগণ্য, ফলে রাজি হন শ্বেতা। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্বেতা শর্মা দ🐻াবি করেন, ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ‘ আমাকে জাল বিবৃতি দিয়েছেন, আমার নামে একটি জাল ইমেল আইডি তৈরি করেছেন এবং ব্যাঙ্ক রেকর্ডে আমার ভুলভাল মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছেন, যাতে আমি কোনও উইথড্রলের বিজ্ঞপ্তি না পাই।’
🌃শ্বেতা বলছেন, ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের আয়ের বড় অংশ ওই অ্যকাউন্টে ডিপোজিট করেন। ১৩.🍰৫ কোটির ওই জমা করা টাকা এতদিনে এফডি হয়ে ১৬ কোটি হত। সদ্য জানুয়ারিতে শ্বেতা জানতে পারেন, তাঁর সঞ্চয়ের সেই টাকা উধাও।
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক কী বলছে?
এদিকে, ঘটনার পর অভিযোগ পেয়েই আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এই ম্যানেজারকে পদ থেকে সাসপেন্ড করেছে। তারা জানিয়েছে, ম্যানেজারের বিরুদ্ধে চলছে তদন্ত♏। ব্যাঙ্কের মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘ দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ে আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে সে তার স🐭মস্ত টাকা সুদের সাথে ফেরত পাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে।’ তবে ব্যাঙ্ক পাল্টা প্রশ্ন করে যে, গত তিন বছর ধরে নিজের অ্যাকাউন্টে সুদের হার নিয়ে সেই মহিলা অজ্ঞাত ছিলেন, এটা কী করে সম্ভব?
এছাড়াও ব্যঙ্কের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 🌊'আমাদের গ্রাহকরা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, এবং আমরা তাঁদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আন্তরিকভাবে নিবেদিত। এই ক্ষেত্রেও, আমরা নিশ্চিত করব যে গ্রাহকের আর্থিক স্বার্থ সুরক্ষিত।' ব্যাঙ্ক আরও বলছে, ‘প্রকৃতপক্ষে, আমরা গ্রাহককে জানিয়েছি যে আমরা ৯.২৭ কোটি টাকার বিতর্কিত পরিমাণ (তিনি ইতিমধ্যে ২ কোটি টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিট এনক্♌যাশ করেছেন) তার অ্যাকাউন্টে লিয়েন সহ স্থানান্তর করতে প্রস্তুত, তদন্তের ফলাফল যতদিন না আসছে।’
আরও এক তাৎপর্যপূর্ণ বার্তায় ব্যাঙ্ক বলছে, ‘তিনি অভিযোগ করেন যে তাঁর অ্যাকাউন্টের মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি তার অজান্তেই পরিবর্তন করা হয়েছে। যাইহোক, আমাদ⛦ের রেকর্ডগুলি নির্দেশ করে যে উভয় পরিবর্তন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিগুলি তাঁর আসল মোবাইল নম্বর এবং ইমেল ঠিকানায় পাঠানো হয়েছিল যা ব্যাঙ্কে নিবন্ধিত ছিল৷’ এছাড়াও ব্যাঙ্ক বলছে, এছাড়াও নতুন নম্বরটি গ্রাহকের নিজের মালিকানাধীন একটি কোম্পানির ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।'