শিশুদের যৌন হেনস্থা থেকে রক্ষা করা সংক্রান্ত আইন হল পকসো। তবে এই অপরাধের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পুরুষদেরই পকসো আইনে বিচার করা যায়, নাকি মহিলাদেরও এই আইনের অধীনে বিচার হতে পারে? তা নিয়ে প্রশ্ন প্রায়ই ওঠে। এই অবস্থায় পকসো সংক্রান্ত একটি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। রায়ে দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে, সংশ্লিষ্ট অভিযোগে অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধেও পকসো আইনের অধীনে ফৌজদারি মামলা করা যায় এবং অপ🌌রাধের জন্য আদালতেও মামলা চলতে পারে। এই আইন যে শুধুমাত্র পুরুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তা নয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রীদের থেকে চাইতেন নগ্ন ছবি, দেখাতে✱ন অ♛শ্লীল ভিডিয়ো! POCSO আইনে গ্রেপ্তার কোচ
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভম্ভানি বলেন, শিশুদের যৌন অপরাধ থেকে রক্ষা করার জন্য পকসো আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে অপরাধটি পুরুষ হোক বা নারী যেই করুক না কেন তার বিরুদ্ধেই এই আইনে বিচার করা যাবে । তিনি বলেন, পেনিট্রেটিভ সেক্সুয়াল অ্যাসল্টের ব্যাখ্যা সঠিক ভাবে বোঝা প্রয়োজন। ধারা ৩ (এ)- তে ব্যবহৃত ‘ব্যক্তি’ শব্দটি শুধুমাত্র পুরুষজাতিকে বোঝানো হয়নি। পকসো মামলায় 🅰অভিযুক্ত এক মহিলা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলাতেই এমন রায় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
আইনজীবীর তরফে যুক্তি ছিল, তাঁর মক্কেল একজন মহিলা। তাই তাকে পকসো আইনে অভিযুক্ত করা যাবে না। তিনি যুক্তিতে আরও জানান, এই আইনে পুরুষজাতিকে সম্বোধন করার জন্য বারব༒ার ‘হি’ (সে) ব্যবহার করা হয়েছে। যার অর্থ আইন প্রণেতারা শুধুমাত্র পুরুষ অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই এই আইন এনেছে। তবে, আদালত বলেছে, পকসো আইনের ধারা-৩ (এ)- তে ‘ব্যক্তি’ শব্দটি শুধুমাত্র একজন পুরুষকে বোঝাতেই ব্যাবহার করা হয়নি। লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলকেই বোঝায়। এই আইনের কোথাও বলা হয়নি যে শুধুমাত্র পুরুষ যৌনাঙ্গ শিশুর শরীরে প্রবেশ করানোর যৌন হেনস্থা✤ই অপরাধ। আদালতের কোনও আইনের ব্যাখ্যা করা উচিত নয়। এই ধারা লিঙ্গ নিরপেক্ষ। শিশুদের যৌন হেনস্থা অপরাধীর লিঙ্গ নির্বিশেষে একটি অপরাধ। ফলে মহিলার বিরুদ্ধেও এই আইনে বিচার করা যেতে পারে। এই বলে মহিলার আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।