সাত বছর আগে বিস্ফোরণে স্বামীকে হারিয়েছিলেন। আর এবার হাত হারালেন মহিলা। হেয়🐲ারড্রায়ার বিস্ফোরণের ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে মহিলারা দুটি হাতের তালু এবং আঙুল উড়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বাগলকোট জেলার ইলকাল শহরে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে হাতের অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে অনেক𓃲টা দূরে। সারা ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রক্ত। ওই মহিলার নাম বাসভরাজেশ্বরী ইয়ারনাল, বয়স ৩৭।
আরও পড়ুন: জম্মু-কা𝐆শ্মীর🐠 সীমান্তে পাতা ল্যান্ডমাইন ফাটল ‘দাবানলে’! জঙ্গলে আগুন ধরল কীভাবে?
জানা গিয়েছে, কুরিয়ারের মাধ্যমে হেয়ারড্রায়ারটি মহিলার প্রতিবেশী শশীকলাকে পাঠানো হয়েছিল। তাꦉতে শশীকলার নাম, মোবাইল নম্বর ছিল। কিন্তু, তিনি শহরের বাইরে থাকায় ইয়ারনালকে হেয়ার ড্রায়ারটি সংগ্রহ করতে বলেছিলেন এবং খুলে দেখতে বলেছিলেন। তখন মহিলা প্🎉যাকেট খুলে হেয়ারড্রায়ার চালাতেই ঘটে বিপত্তি। ফেটে যায় হেয়ারড্রায়ারটি। ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় মহিলার হাত।
তদন্তকারীরা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে। হেয়ারড্রায়ারের মতো যন্ত্রগুলিতে ২-ওয়াটের বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রয়োজন হয়। কিন্তু, তা ছিল না। বাসভরাজেশ্বরীর এক আত্মীয় জানান, শশীকলার নামে একটি কুরিয়ার পার্সেল বুক করা হ💜য়েছিল। ডেলিভারি বয় শশীকলাকে পার্সেলটি সংগ্রহ করার জন্য ডেকেছিলেন। কিন্তু, তিনি ছিলেন না। তাই বাসভরাজেশ্বরীকে সংগ্রহ করতে বলেছিলেন। আর সেটি চালাতেই ঘটে বিপত্তি।
বিস্ফোরণের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তারা দেখেন বাসভরাজেশ্বরীর হাতের তালু ও তালু কেটে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও পরে🎉 শশীকলা দাবি করেছেন, যে তিনি অনলাইনে কোনও পণ্য অর্ডার করেননি। বাগালকোটের পুলিশ সুপার অমরনাথ রেড্ডি বলেছেন, তিনি সম্ভবত ভয়ে এমনটি বলছেন। এসপি বলেন, ইলকাল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং কে এটি অর্ডার করেছিল এবং এটি কোথা থেকে পাঠানো হয়েছিল তা নির্ধারণের জন্য তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, হেয়ারড্রায়ারের প্রস্তুতকারক হল বিশাখাপত্তনমের একটি সংস্থা।