সশস্ত্র বাহিনীর একীকরণ ছিল প্রয়াত চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের স্বপ্ন ছিল। শত বাধা বিপত্তির সত্ত্বেও এই লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত। এবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়ে দিলেন যে তিন সামরিক বাহিনীকে সংযুক্ত করে থিয়েটারাইজেশন সরকারের ‘টু-ডু’ লিস্টে একদম উপরে রয়েছে। রাজনাথের কথায়, তিন সামরিক বাহিনীর কার্যকারিতা বাড়াতে এবং ভবিষ্যত অপারেশন পরিচালনার ক্ষেত্রে থিয়েটারাইজেশন প্রয়োজনীয়। আর এই লক্ষ্যে সরকার নির্বিঘ্নে অগ্রসর হচ্ছে বলেও জানান রাজনাথ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবার ভারতের প্রথম সামরিক প্রধানকে শ্রদ্ধা জানানোর সময় থিয়েটারাইজেশন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। প্রতিরক্ষা স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী সহ মোট ১৩ জন গত সপ্তাহে তামিলনাড়ুর কুন্নুরের কাছে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন। তারপরই সেনা থেকে সরকারের শীর্ষ মহলে প্রশ্ন উঠেছিল থিয়েটারাইজেশনের ভবিষ্যত নিয়ে।ভবিষ্যতে যুদ্ধ এবং সামরিক অপারেশনের জন্য সেনাবাহিনী সহ তিন সামরিক বাহিনীর সম্পদকে সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করার জন্য থিয়েটারাইজেশন ড্রাইভের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জেনারেল রাওয়াত। তবে সিডিএস-এর মর্মান্তিক মৃত্যুতে থিয়েটারাইজেশন সহ চলমান সামরিক সংস্কারের উপর প্রশ্নচিহ্ন দেখা যায়। প্রশ্ন ওঠে, রাওয়াতের অকাল প্রয়াণে কী প্রভাব পড়তে পারে এই পুরো প্রক্রিয়ার উপর। পাশাপাশি সরকার কাকে পরবর্তী সিডিএস হিসেবে নিয়োগ করবে, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। তিন বছরের জন্য সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর রাওয়াত ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সিডিএস হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে চার-তারকা পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ভারতের দীর্ঘতম চার তারকা-সেনা জেনারেল পদে থাকা আধিকারিক ছিলেন। সিডিএস হিসাবে তিনি চিফস অফ স্টাফ কমিটির (সিওএসসি) স্থায়ী চেয়ারম্যান ছিলেন, ডিএমএর নেতৃত্বে ছিলেন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলেন। এখন রাওয়াতের স্থানে যে আসবেন, তিনিও এই সব পদে অধিষ্ঠিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নয়া পদে যেই আসবেন, তাঁকে যে জেনারেল রাওয়াতের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।